দীর্ঘদিন বেকার থাকার পর বর্ষার পানি জমে থাকা ডোবা লীজ নিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী হতে দিন রাত নিরন্তর চেষ্টা করে অনকেটা সফল হওয়ার পথে হাজীগঞ্জের কৌশলী যুবক সাখাওয়াত।
প্রথমে জমির মালিকদের কাছ থেকে লীজ নিয়ে চার পাশে বাঁধ দিয়ে ডোবায় মাছের পোনা অবমুক্ত করেন। বর্ষার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মাছের পরিচর্যা ও খাবারের ধরণ পরিবর্তন করেন এবং মাছ সংরক্ষণে চারপাশে জাল দিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে রাখেন।
গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের জয়শরা মুন্সী বাড়ির মো. সাখাওয়াত মুন্সী প্রথম ৭ একর জমির পুকুরের ভেতর মাছের চাষ শুরু করেন।
বর্ষার পানি বৃদ্ধির কারণে চার পাশে জাল দিয়ে রাখা পুকুরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ রয়েছে। বিশেষ করে রুই, কাতল, মৃগেল, কার্প ও তেলাপিয়াসহ বিভিন্ন দেশিয় প্রজাতির মাছ চাষাবাদ হচ্ছে।
সাখাওয়াত বর্তমানে দু’ছেলে, স্ত্রী ও মা নিয়ে সংসারের হাল ধরতে গিয়েও বিপাকে পড়তে হয়।
রাজনৈতিক কর্মকান্ডে সময় না দিয়ে স্থানীয় এক মৎস্য চাষীর পরামর্শে মাছ চাষ শুরু করেন ।
সাখাওয়াত বলেন, ‘আমার বাড়ির সামনে ছোট একটা চায়ের দোকান দিয়েছি। হঠাৎ মাথায় চিন্তা করে ৭ একর জমি লীজ নিয়ে মাছের চাষ করি। তবে মূলধনের অভাবে মাছের খাদ্য কিনতে পারছি না। সরকারি কিংবা কোনো স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান যদি সহযোগিতার হাত বাড়াতো তাহলে যে পরিমাণ দেশি জাতের মাছ তার রয়েছে তা পরি পূর্ণবৃদ্ধি হতো।’
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুব আলম চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ‘মাছ চাষীদের জন্য সরকারিভাবে অনেক সুযোগ সুবিধা রয়েছে। যখন শুনেছি এ ধরনের মাছের চাষ হচেছ সরেজমিনে গিয়ে সুযোগ সুবিধার কথা বলবো।’
প্রতিবেদক- জহিরুল ইসলাম জয় :আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০১:০০ এএম, ১২ আগস্ট ২০১৬,শুক্রবার
এজি/ডিএইচ