শনিবার দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার প্রথম ডোজ দেয়া শেষ হচ্ছে। আজকের বিশেষ ক্যাম্পেইনে টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এক কোটি। তবে এই টিকা দিতে লাগবে না কোনো নিবন্ধন। দেয়া হবে সিনোভ্যাক ও সিনোফার্মার টিকা।
এ টিকা দেয়ার মাধ্যমে মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে।
রবিবার ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে প্রথম ডোজ দেয়ার কাজ। চলবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ডোজ (বুস্টার) টিকা কর্মসূচি।
অধিদফতরের ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক জানিয়েছেন,‘২৬ ফেব্রুয়ারির আগ পর্যন্ত প্রথম ডোজের টিকা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। যাদের জন্মনিবন্ধন ও পাসপোর্ট নেই,তারা ২৬ ফেব্রুয়ারির আগে সরাসরি হাসপাতাল ও টিকাকেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন।
মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে তাদের তথ্য নথিভুক্ত করে টিকা দেয়া হবে। তাদেরকে একটি করে কার্ড দেওয়া হবে। সেটিই হবে টিকা নেয়ার প্রমাণ। এসব কিছুর প্রস্তুতি এবং নির্দেশনা ইতোমধ্যেই দেশের সব সিভিল সার্জনসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে পৌঁছে গিয়েছে।’
গণটিকার জন্য গ্রামাঞ্চলে ১৬ হাজারের বেশি ও শহরাঞ্চলে (পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন) সাড়ে ৮ হাজার অস্থায়ী টিকাকেন্দ্র করা হয়েছে।
এছাড়াও স্থানীয়ভাবে প্রয়োজন অনুযায়ী সব ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা ও বিভাগগুলোতে চাহিদা অনুযায়ী অতিরিক্ত বুথ ও ভ্যাক্সিনেটরের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে ৭০ হাজারের মতো ভ্যাক্সিনেটর ও স্বেচ্ছাসেবক টিকা দেয়ার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে একদিনে ১ কোটি ডোজ টিকা দেয়ার ঘোষণা দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। ওই দিন জানানো হয় ২৬ ফেব্রুয়ারির পর আর প্রথম ডোজ টিকা দেয়া হবে না। এরপরই টিকাদান কেন্দ্রগুলোয় ভিড় বাড়তে থাকে। গত বুধবার সাভারে করোনাভাইরাসের টিকাকেন্দ্রে প্রথম ডোজ প্রত্যাশীদের ছিল উপচেপড়া ভিড়। সামলাতে পুলিশকে লাঠি চার্জও করতে হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাবে,বুধবার পর্যন্ত দেশে ১০ কোটি ৬৫ লাখ ৫৫ হাজারের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৮ কোটি ৬ লাখ এবং বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ৩৫ লাখের বেশি মানুষ।
বার্তা কক্ষ ,
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২
এজি