বয়স্কদের তুলনায় শিশুদের ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে

বয়স্কদের তুলনায় শিশুদের ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গতকাল রবিবার পর্যন্ত সারা দেশে শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সী অন্তত ৩ হাজার ৩৩৯ শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে সেপ্টেম্বরের প্রথম ২২ দিনে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ৩৪০ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল পর্যন্ত শুধু শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৫৪ ডেঙ্গু রোগী, যার মধ্যে সেপ্টেম্বর মাসে এসেছে ২৭ জন নতুন রোগী।

বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালের জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল হাকিম বলেন, ডেঙ্গু রোগীর চাপ সামলাতে আমরা রবিবার একটি ডেঙ্গু সেল চালু করেছি।

চার বছরের শিশু আয়মান শিকদারকে নিয়ে শিশু হাসপাতালে এসেছেন সাইদুল ইসলাম। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে জীবনের জন্য লড়াই করছে আয়মান। ওই হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে তাকে।

আয়মানের বাবা সাইদুল বলেন, আয়মানকে শনিবার প্রথমে মিরপুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে অবস্থার অবনতি হলে শিশু হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় শিশু হাসপাতালে আনার পরপরই ডাক্তার সঙ্গে সঙ্গে আইসিইউতে পাঠায়।

এ ছাড়া রাজধানীর একটি হাসপতালে আলিজা নামে চার বছর বয়সী এক ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুকে ভর্তি করা হয়।

আলিজার বাবা জানিয়েছেন, গতকাল বিকেলে আলিজার রক্তচাপ ক্রমাগত কমতে থাকায় তার অবস্থার অবনতি হয়। পরে ফার্মগেটের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে শিশু হাসপাতালে নেওয়া হয়।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. এইচ এম নাজমুল আহসান বলেন, শিশুদের মধ্যে ডেঙ্গুর উপসর্গ বড়দের থেকে কিছুটা আলাদা। প্রাপ্তবয়স্কদের শরীর ব্যথা এবং চোখের ব্যথাসহ হঠাৎ জ্বর অনুভব করলেও শিশুরা প্রথমে বমি বমি ভাব এবং কাশিতে ভোগে।

তিনি বলেন, নবজাতক এবং ছোট বাচ্চারা অতিরিক্ত কান্নাকাটি করতে পারে, বমি বমি ভাব এবং কাশিসহ জ্বর হতে পারে এবং বুকের দুধ খেতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারে। বড়দের চেয়ে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ৪৮ ঘণ্টার তুলনায় ২৪ ঘণ্টার মধ্য ডেঙ্গুর লক্ষণগুলো গুরুতর হয়ে ওঠে বলে জানান তিনি। সেই সঙ্গে শিশুদের শক সিনড্রোমে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতাও বেশি, যা উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি তৈরি করে বলেও সতর্ক করেন তিনি।

চাঁদপুর টাইমস ডেস্ক/ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪