হাজীগঞ্জে কোরবানির জন্য নিশাত ডেইরি ফার্মে অর্ধশত গরু প্রস্তুত

আগামি ১০ জুলাই পবিত্র ঈদুল আজহাকে ঘিরে গরু প্রস্তুত রয়েছে নিশাত ডেইরি ফার্মে। প্রায় ৪০টি গরু এবারের কোরবানির বাজারে বিক্রির জন্য প্রস্তুত রয়েছে এ প্রতিষ্ঠানে।

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন বলাখাল আমজাদ আলী বেপারী বাড়ীতে নিশাত ডেইরি ফার্ম, বিভিন্ন বাজারে বিক্রির জন্য এসব গরু প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়,গত প্রায় ৫ বছর পূৃর্বে গড়ে উঠা নিশাত ডেইরি ফার্মে সম্পূর্ণ আধুনিক প্রদ্ধতিতে গরু পালন শুরু করা হয়। এ ফার্মে গরু মোটাতাজাকরণে কোনো ধরনের ক্ষতিকর ওষুধ এবং ইনজেকশন প্রয়োগ করা হয় না। নিজস্ব জমির উপর গড়ে উঠা ফার্মেরর জন্য বাহিরে তাদের চাষকৃত ঘাস, খড় ও ফিড খাওয়ানো হয় এসব গরুকে। তাই ক্রেতাদের মধ্যে নিশাত ডেইরি ফার্মের গরুর বেশ কদর রয়েছে।

ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে কোরবানির জন্য গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছে ক্রেতারা। গত কয়েক বছর ধরে ফার্মের ভিতর থেকে গরু বিক্রি করে আসলেও এ বছর খামার থেকে গরু বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। তাই এ বছর গরু বিক্রির জন্য প্রস্তুত রয়েছে প্রায় ৪০টি বিভিন্ন সাইজের গরু।

এ ফার্মে বর্তমানে প্রায় ৪/৫ জন শ্রমিক নিয়োজিত আছে। তাদের মধ্যে শ্রমিক নেতা শেফায়েত উল্যাহ বলেন, আমাদের এ ফার্মে ৪০ টি গরু কোরবানির জন্য বিক্রয়ের প্রস্তুতি রয়েছে।

নিশাত এগ্রো ফার্মের পরিচালক আক্তারুজ্জামান সুমন বলেন,এ বছর কোরবানির জন্য আমাদের ফার্মে ৪০ টি গরু রয়েছে। উক্ত গরু থেকে বিক্রিতে টার্গেট প্রায় কোটি টাকার মত।

খাদ্যের দাম দ্বিগুণ বেড়ে যাওয়ায় খরচ অনুযায়ী তেমন লাভের মুখ দেখবো না। তার পরেও ছোট-বড় গরু বিক্রি লাখ টাকা থেকে শুরু করে ৫ লাখ টাকা মূল্যের গরু এ ফার্মে রয়েছে। ইতোমধ্যে কিছু গরু বিক্রি হয়েছে।

তিনি আরো বলেন,‘আমরা গরু মোটাতাজাকরণে কোনো ধরনের ক্ষতিকারক মেডিসিন ও খাদ্য ব্যবহার করি না। কারণ আমাদের ফার্মের মালিক ডা.মাহবুবর রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী নিজেদের চাষ করা নেপিয়ার ঘাস ও ফিড খাওয়ানো হয়। তাই ক্রেতাদের মধ্যে নিশাত ডেইরি ফার্মের গরুর চাহিদা রয়েছে। ’

জহিরুল ইসলাম জয়
৪ জুলাই ২০২২
এজি

Share