সারাদেশ

ডিসেম্বর থেকে বাড়ছে বিদ্যুতের দাম

বিদ্যুতের দাম ফের বাড়ছে। প্রতি ইউনিট খুচরা বিদ্যুতের দাম গড়ে ৬ থেকে ১৪ শতাংশ এবং পাইকারি বিদ্যুতের দাম প্রায় ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে বিতরণকারী সংস্থা-কোম্পানিগুলো। ওই প্রস্তাব যাচাই-বাছাই শেষে আজ সোমবার গণশুনানি শুরু করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।

বিইআরসি’র ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, বিদ্যুত্ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শুধু পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) লোকসানে রয়েছে। বাকি কোম্পানিগুলো লাভজনক অবস্থায় আছে। তেলের দাম কমানো হলে মুনাফার পরিমাণ আরো বাড়বে। তবে এ খাতে গৃহীত প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় সরকারি অর্থায়ন নিশ্চিত করতে বিদ্যুতের দাম বাড়াতে আগ্রহী সরকার। বিইআরসি আইন অনুযায়ী গণশুনানির পর ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে বিইআরসি সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে হবে। সব মিলিয়ে চলতি বছরেই বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দেওয়া হবে।

২০০৯ সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর এখন পর্যন্ত পাইকারি পর্যায়ে ৫ বার এবং খুচরা গ্রাহক পর্যায়ে ৭ বার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর নিত্যব্যবহূত পণ্যটির দাম বাড়ানো হয়।

দেশে বিদ্যুত্ উত্পাদনকারী কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে বিদ্যুত্ কিনে বিতরণকারী সংস্থাগুলোর কাছে বিক্রি করে বিদ্যুত্ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। পিডিবি নিজেই সবচেয়ে বেশি বিদ্যুত্ উত্পাদন করে। বিইআরসি সূত্র জানায়, বিতরণ কোম্পানিগুলোর কাছে পাইকারি বিক্রির ক্ষেত্রে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৭২ পয়সা (প্রায় ১৫ শতাংশ) বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে পিডিবি। বিভিন্ন বিতরণ কোম্পানিগুলো গ্রাহক পর্যায়ে ৬ থেকে ১৪ শতাংশ পর্যন্ত প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে।

খুচরা গ্রাহক পর্যায়ে ডিপিডিসি গড়ে ৬ দশমিক ২৪ শতাংশ, ডেসকো ৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ, ওজোপাডিকো ১০ দশমিক ৩৬ শতাংশ, আরইবি ১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং পিডিবি ১৪ শতাংশ পর্যন্ত দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে। কয়েকটি কোম্পানি গ্রাহক পর্যায়ে ডিমান্ড চার্জ ও সার্ভিস চার্জ বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে।

নিউজ ডেস্ক:
আপডেট, বাংলাদেশ ১১ : ২০ এএম, ২৩ নভেম্বর, ২০১৭ বৃহস্পতিবার
এএস

Share