হাজীগঞ্জ উপজেলার ছোট বড় প্রায় দুই শতাধিক পোলট্রি খামার রয়েছে। তার মধ্যে লেয়ার জাত মুরগীর মাধ্যমে ডিম উৎপাদনে অন্যতম ভূমিকা রাখছে হাজীগঞ্জ উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের আহম্মদপুর গ্রামের মৃত শামছুল হক ভূঁইয়ার ছেলে আলী আহম্মেদ ভৃঁইয়ার পোল্ট্রি খামার। তার খামার থেকে প্রতিবছর প্রায় ১৫ হাজার লেয়ার মুরগী উৎপাদন হয়। যা ডিম ও মাংস উৎপাদনে মানুষের চাহিদা পূরনে বিরাট ভূমিকা পালনে অবদান রেখে আসছে।
বর্তমানে আলী আহম্মেদের খামারে দৈনিক দুই হাজার মুরগীর ডিম উৎপাদন হয়। এসব ডিম উপজেলার বিভিন্ন বাজারে পাইকারী বিক্রি করা হয়। এসব লেয়ার জাত মুরগী টানা ১৮ মাস ডিম দেয়। ডিম উৎপাদন শেষে পরবর্তীতে এক এক মুরগী ৫শ’ টাকা ধরে গড়ে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকা বিক্রি আসবে বলে জানান খামারী।
সরেজমিনে দেখা যায়, আলী আহম্মেদের নিজস্ব বাড়িতে বসতঘরের পাশে ডোবা ভরাট করে গড়ে তোলে পোল্ট্রি খামার। যেখানে পর্যাপ্ত আলো বাতাসের ব্যবস্থাসহ প্রয়োজনীয় খামারের কার্যক্রম। খামারের রক্ষানাবেক্ষনের জন্য নিয়োজিত জনবলের পাশাপাশি আলী আহমেদ ও তার পরিবারের লোকজনও দেখবাল করে আসছেন।
খামারের মালিক আলী আহমেদ বলেন, আমি গত ১০ বছর ধরে মুরগীর খামার পরিচালনা করে আসছি। সরকারি ভাবে যদি কোন প্রনোধনা পেতাম, তাহলে খামারের উন্নয়নসহ আরো বেশী মুরগীর উৎপাদন করতে পারতাম।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের কর্মরত ডা.মনিরুজ্জামান চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, এই উপজেলায় লেয়ার জাত মুরগীর খামারের সংখ্যা কম। এ জাতীয় খামারে মুরগীর স্বাস্থ্য সেবা দিতে আমরা বদ্ধপরিকর।
প্রতিবেদক:জহিরুল ইসলাম জয়,৭ জানুয়ারি ২০২১