ডিমেনশিয়া ঝুঁকিতে দেশ : আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লক্ষাধিক

বর্তমান যুগে এসে বিশ্বজুড়েই বাড়ছে অনিদ্রাজনিত নানা রোগ। এর মধ্যে ডিমেনশিয়া মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। আর বিশ্বের যে-সকল দেশ মারাত্মক ডিমেনশিয়া ঝুঁকিতে রয়েছে,বাংলাদেশ তার মধ্যে অন্যতম। নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে এ রোগে আক্রান্তের হার বেশি।

বর্তমানে পৃথিবীজুড়ে এ ডিমেনশিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় পাঁচ কোটি। ২০৫০ সাল নাগাদ সংখ্যাটা ১৫ কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে। বাংলাদেশে বর্তমানে আনুমানিক ১০ লাখেরও বেশি মানুষ ভুগছেন এ ডিমেনশিয়ায়।

২১ ডিসেম্বর শনিবার ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরো সায়েন্স হাসপাতাল মিলনায়তনে ‘ডিমেনশিয়া কেয়ার ফাউন্ডেশন’ র উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও ডিমেনশিয়া বিষয়ক জাতীয় সম্মেলনে এসকল তথ্য জানানো হয়।

৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে বেশি দেখা দেয় ডিমেনশিয়া। এ রোগ দেখা দিলে আক্রান্ত ব্যক্তির স্মৃতিভ্রষ্টতা দেখা দেয়। তারা সাধারণত কিছুই মনে রাখতে পারেন না। খানিক আগের বিষয়ও ভুলে যান। একই কথা বারবার জিজ্ঞেস করেন। এ রোগের কোনো চিকিৎসাও নেই। তবে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ডিমেনশিয়ায় আক্রান্তদের সুস্থ রাখা সম্ভব।

ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা.কাজী দ্বীন মোহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা.আবুল কালাম আজাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ফ্রাঙ্ক শেফার।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও ডিমেনশিয়া কেয়ার ফাউন্ডেশনের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এছাড়াও সম্মেলনে ডিমেনশিয়ার বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক প্রেক্ষাপট,চিকিৎসা,সেবা ও সমস্যা, বাংলাদেশে ডিমেনশিয়া নিয়ে কাজের অভিজ্ঞতা ও ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে আলোচকরা আলোচনা করেন।

আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা.মো.হেলাল উদ্দীন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা.মো.রেজওয়ানুল করিম প্রমুখ। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতালের যুগ্ম-পরিচালক অধ্যাপক ডা.বদরুল আলম সম্মেলনের সমাপনি বক্তব্য রাখেন।

বার্তা কক্ষ, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯

Share