ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস আজ। সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে পঞ্চম বারের মতো যথাযথ মর্যাদায় জেলা-উপজেলাসহ দেশব্যাপী দিবসটি উদ্যাপন করা হচ্ছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য—‘ডিজিটাল বাংলাদেশের অর্জন, উপকৃত দেশের সকল জনগণ’।
দিবসটি উপলক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। আজ রোববার সকাল ৭টার দিকে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে আইসিটি পরিবারের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে দিবসটির কর্মসূচি শুরু হয়। অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে—সকাল ৮টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা থেকে খামারবাড়ি মোড় পর্যন্ত সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, বিকেল ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেমে জাতীয় সেমিনার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ অনুষ্ঠানে ভাষণ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এ ছাড়া বিকেল ৩টার দিকে ইউনাইটেড সিটির ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী ডিজিটাল বাংলাদেশ কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে।
সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর নিজ নিজ সাফল্য ও অর্জন নির্ভর আলোচনা সভা ও সেমিনারের আয়োজন করবে। বিদেশে অবস্থিত সব বাংলাদেশ মিশনে দিবসটি একযোগে উদ্যাপন করা হবে।
এ ছাড়াও দিবসটি উপলক্ষ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ১২ বছরের সাফল্য ও অর্জন তুলে ধরে গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলোতে ক্রোড়পত্র প্রকাশ, কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতা, দেশব্যাপী জেলা ও উপজেলায় ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণ বা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিষয়ক রচনা ও উপস্থিত বক্তৃতা, কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, সভা-সেমিনারের আয়োজন করা হচ্ছে। সচেতনতামূলক নাটিকা পরিবেশন, শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি, দল ও প্রতিষ্ঠানকে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সাধারণ ও কারিগরি ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তিতে অনন্য অবদানের জন্য ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার ২০২১ প্রদান করা হবে। এ ছাড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সবার জন্য উন্মুক্ত অণুগল্প প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে।
মুজিববর্ষ ও বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনের এই বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসকে কেন্দ্র করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে দৈনন্দিন কাজে তথ্য প্রযুক্তির নতুন নতুন অনুষঙ্গ যুক্ত করা হচ্ছে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সেবাগুলোর আধুনিকায়ন এবং দ্রুততম সময়ে দেশে ও দেশের বাইরে নাগরিক সেবা প্রদানে তথ্য প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির আধুনিক অনুষঙ্গ যেমন—টেলিকনফারেন্স, ভিডিও কনফারেন্স, ওয়েবিনার, ইউনিফায়েড/আইডেন্টিক্যাল ওয়েবসাইট ইত্যাদির ব্যবহার নিশ্চিত করেছে। আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেবা সহজীকরণের উদ্দেশ্যে তথ্য প্রযুক্তিনির্ভর কনস্যুলার সেবা প্রদানেরও নানা পদক্ষেপ নিয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমাণের লক্ষে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা দলের নির্বাচনি ইশতেহারে ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঘোষণা দেন। ডিজিটাল বাংলাদেশের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনুধাবন করে মন্ত্রিসভা বৈঠকে ১২ ডিসেম্বরকে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে পালনের অনুমোদন দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সাল থেকে প্রতিবছর ১২ ডিসেম্বর ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস পালন করা হচ্ছে।