ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘ডিজিটাল প্রযুক্তি যত বেশি বাড়ছে, ডিজিটাল অপরাধের পরিমাণ ততো বাড়ছে। ডিজিটাল আইন না থাকলে কিংবা এই আইন সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করলে ডিজিটাল দুনিয়ায় বসবাস করা সম্ভব হবে না।’
১০ এপ্রিল শনিবার ঢাকায় ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরাম আয়োজিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘নারী–শিশুসহ নতুন প্রজন্ম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিনিয়ত হেনস্তার শিকার হচ্ছে। একইসঙ্গে সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাস, মৌলবাদ ও রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারণা চূড়ান্তভাবে বেড়ে চলেছে। আমরা এসবের মোকাবিলা করতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেরই সহায়তা নিচ্ছি। এই আইনের বদৌলতে ২২ হাজার পর্নোসাইট এবং ৪ হাজার জুয়ার সাইট বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।
এছাড়া ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে, পাইরেসি, কপিরাইট ও ট্রেডমার্ক ভায়োলেশন হচ্ছে। এসব বন্ধ করতে আইনের প্রয়োগ অপরিহার্য।’
সংগঠনের সভাপতি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. শামীম রেজা, আইনজীবী ফারহানা হক, টিআরএনবি’র সভাপতি রাশেদ মেহেদী, ফাইবার অ্যাট হোমের চিফ টেকনোলজি অফিসার সুমন আহমেদ সাবির এ সময় বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট খন্দকার হাসান মাহমুদ।
সভাপতির বক্তৃতায় হাসানুল হক ইনু ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিচারক, আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্ট সবার এই বিষয়ে ব্যাপক প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, ‘ডিজিটাল জগৎ প্রসারিত হচ্ছে। ফলে এর সঙ্গে প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে।’ তা না হলে মানুষ হয়রানির শিকার হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ঢাকা ব্যুরো চীফ,১১ এপ্রিল ২০২১