ডায়াবেটিস নামের মধ্যেই আতঙ্ক জড়িয়ে রয়েছে৷ বর্তমানে বহু মানুষ এ রোগে আক্রান্ত৷ তবে বেশ কিছু ভেষজ ও প্রাকৃতিক প্রতিকারের সাহায্যে এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়৷ সে সঙ্গে সঠিক চিকিৎসা ও খাদ্যাভাসও একান্ত জরুরি ৷ রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর নিয়ন্ত্রণে রাখাই সর্বোত্তম পস্থা। এ জন্য প্রয়োজন কঠোর নিয়মানুবর্তিতা। চিকিৎসকদের মতে পাশাপাশি কিছু খাবারও ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়তা করে।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধ কিছু পরামর্শ
* প্রতিদিন ফল ও সবুজ সবজি খান৷ যেকোন ধরণের মিষ্টি খাবার এড়িয়ে চলুন৷ সবুজ শাক-সবজি সাধারণত ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। পালং শাক, শালগম,ফুলকপি, বাঁধাকপি, লেটুস পাতা ইত্যাদি খাবারে ক্যালরি ও কার্বোহাইড্রেট -এর পরিমাণ কম। ফলে এগুলো ডায়াবেটিস ঠেকাতে ভালো ভূমিকা রাখে।
* রসুন এ রোগেরই একটি অন্যতম ভেষজ প্রতিকার৷ রসুনে অ্যালিসিন থাকে যা রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়তে দেয়না৷
* মাছের ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা বাড়ায়। ফলে ইনসুলিনের ক্রিয়াশীলতা বাড়ে। এটা গ্লুকোজের ঘনত্ব কমিয়ে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস করে। এছাড়া এতে রয়েছে চর্বিহীন প্রোটিন। এটাও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।
* টক দই এমনিতেই স্বাস্থ্যকর খাদ্য হিসাবে বিবেচিত। এতে চিনির পরিমাণ খুবই কম। এটা রক্তে চিনির পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।নিয়মিত টক দই খেলে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা সম্ভব।
* প্রতিদিন সকালে যদি ৫ থেকে ১০টি তাজা কারি পাতা খাওয়া যায় তবে ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব৷ টাটকা আমের পাতাকে একগ্লাস জলে সেদ্ধ করে সারারাত রেখে দিন৷ পরদিন সকালে পাতা ছেঁকে যদি সে পানি খেলে তবে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভবনা থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে৷
* বাদাম ডায়াবেটিস প্রতিরোধে বেশ কার্যকর। চিনাবাদাম ডায়াবেটিসের ঝুঁকি প্রায় ২১ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ১ আউন্স আখরোট বা কাজুবাদাম রাখলে তা ডায়াবেটিস প্রতিরোধে ভালো কাজ দেয়। এছাড়া নিয়মিত বাদাম খেলে ডায়াবেটিসজনিত হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে।
* গ্রিন টি বা সবুজ চা ইদানিং বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। ডায়াবেটিস প্রতিরোধেও এর ভূমিকা বেশ কার্যকর। এটা মানুষের শরীরে ইনসুলিনের মতো কাজ করে। অতিরিক্ত ওজন কমাতেও গ্রিন টি বেশ উপকারী।
* ডায়াবেটিস রোধে জাম খুব উপকারি৷ এটি শর্করাকে শ্বেতসারে রূপান্তরিত হতে বাধা দেয়৷ ।
নিউজ ডেস্ক
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৩:১০ গিএম,১৪ নভেম্বর ২০১৭,মঙ্গলবার
এজি