বর্তমানে ডায়াবেটিস হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু না। আমাদের উচিত ডায়াবেটিস প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া। আর ডায়াবেটিস যদি হয়েই যায় তাহলে অবশ্যই নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে। রোগের লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। ওষুধের পাশাপাশি বাড়িতে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। এতে করে নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস।
মানুষ চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ওষুধ গ্রহণ করে তবে আয়ুর্বেদিক চিকিত্সার মাধ্যমে ডায়াবেটিস অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডাব্লিউএইচও এর মতে, আয়ুর্বেদ হ’ল ডায়াবেটিসের চিকিৎসার একটি দুর্দান্ত উপায়।
আয়ুর্বেদে ডায়াবিটিসের চিকিৎসা
আমলা
আমলা বা আমলকি সবচেয়ে শক্তিশালী আয়ুর্বেদিক ওষধি। এটি টক্সিন দূর করতে এবং টিস্যু পুষ্ট করতে ব্যবহৃত হয়। এটি ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। ডায়াবেটিসের চিকিৎসা এবং এটি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য উপযুক্ত। এতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্রোমিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং আয়রন রয়েছে যা শরীরকে ইনসুলিন শোষণে সহায়তা করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।
ত্রিফলা
এই আয়ুর্বেদিক মিশ্রণটি একটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং এটি হজমের জন্য খুব ভালো বলে মনে করা হয়। এটি সুগার রোগীদের জন্য একটি আয়ুর্বেদিক ওষুধ। এর মধ্যে উপাদানগুলো রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় শরীরের স্ট্রেস দূর করতে সাহায্য করে।
দারুচিনি
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহৃত আরও একটি প্রাকৃতিক ভেষজেউপাদান হলো দারুচিনি। এটি নিজে থেকে রক্তচাপ কমাতে এবং ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। খাবারের পরে রক্তে শর্করার হ্রাস এবং আপনার ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সহজ আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা
১. আয়ুর্বেদ রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে আনতে পুনর্ণভা, শারদুনিকার মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন। এই মিশ্রণটি রাতে এক কাপ পানিতে তামার পাত্রে মিশিয়ে সকালে ঘুম থেকে উঠে পান করুন।
২. কেউ তাজা ফল, শাকসবজি এবং তেতো ফল খেতে পারেন।
৩. রক্তে সুগারকে স্থিতিশীল করতে সকালে খালি পেটে হালকা গরম হালকা পানি পান করুন।
৪. আদা চা পান করাও চিনি নিয়ন্ত্রণের একটি প্রাকৃতিক উপায়।
যাদের ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত তাদের ক্ষেত্রে যাদুকরী ভূমিকা পালন করে আযুর্বেদ চিকিৎসা।
ঢাকা চীফ ব্যুরো, ০৫ এপ্রিল, ২০২১;