চাঁদপুরে দু’শতাধিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের একটিরও পরিবেশ ছাড়পত্র নেই

বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র বাধ্যতামূলক হলেও চাঁদপুরে ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে দুই শতাধিক হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক।

স্থানীয় পরিবেশ অধিদফতরের শীথিলতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে এমন অবস্থা বলে অভিযোগ। চাঁদপুরে মোট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ২৫৪টি এবং হাসপাতাল রয়েছে ৪৩টি।

যার মধ্যে মাত্র ৭৫ প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র রয়েছে। বাকিগুলোর মধ্যে ২০ থেকে ২৫টি ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেছে।

অনেকেই শুরুর দিকে যে ছাড়পত্র নিয়েছেন তা দিয়েই দীর্ঘদিন ধরে চালাচ্ছেন হাসপাতাল তথা ক্লিনিক ব্যবসা। পরবর্তীতে তা আর নবায়ন করেননি। শুধু তাই নয়, চাঁদপুরের অনেক বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিবেশ অধিদফতরের অবস্থানগত ছাড়পত্রও নেয়নি।

এছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠান শুরু থেকেই তাদের সব কাগজপত্র তৈরি করতে পারেনি সেসব প্যাথলজি বা ক্লিনিক কিভাবে অনুমোদন পায় তা নিয়েও জনমনে রয়েছে নানা প্রশ্ন।

কেউ কেউ সংশ্লিষ্ট তদারিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

কয়েকটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক মালিকের সঙ্গে কথা বললে তারা অনেকটা এড়িয়ে যান কিংবা কৌশলে জবাব দেন।

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালসংলগ্ন ইনসাফ ডিজিটাল এক্সরে অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক আলমগীর হোসেন জানান, আমাদের পরিবেশগত ছাড়পত্রের আবেদন করা হয়েছে।

আশা করি কয়েক দিনের মধ্যে ছাড়পত্র হাতে পেয়ে যাব। আজাদ এক্স-রে অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ল্যাব ইনচার্জ মোস্তফা কামাল জানান, আমাদের ডায়াগনস্টিক সেন্টার অনেক পুরনো।

আগে চাঁদপুরে পরিবেশ অধিদফতরের কোনো অফিস ছিল না। তাই আমাদের আর নবায়ন করা হয়নি। এখন আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত পরিবেশের ছাড়পত্র সংগ্রহ করতে।

কিন্তু অনেক বছরের জরিমানা টাকাসহ নবায়ন করার কথা বলা হয়েছে। যা আমাদের জন্য কষ্টসাধ্য। তাই আমরা আবেদন করেছি কিছু টাকা মওকুফ করার জন্য।

যদি অধিদফতর আমাদের কোনো ছাড় নাও দেয় তাহলেও আমরা খুব দ্রুত পরিবেশগত ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করবো।

চাঁদপুর জেলা পরিবেশ অধিদফতরের উপ-পরিচালক এএইচএম রাসেদ জানান, যেসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার তাদের পরিবেশ ছাড়পত্র নবায়ন করেনি আমরা তাদের সবাইকে নোটিশ পাঠিয়েছি।

নোটিশ পেয়ে কিছু ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্তৃপক্ষ ছাড়পত্রের জন্য আবেদনপত্র জমা দিয়েছে। কিন্তু বেশির ভাগই এখনও আবেদনপত্র জমা দেয়নি। আমরা তাদের বিরুদ্ধে সহসাই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবো।

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ২১ আগস্ট ২০২০

Share