আইসিডিডিআরবির মতলব হাসপাতালে বাড়ছে ডায়রিয়া রোগী

মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণসহ চাঁদপুরের আট উপজেলায় ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) মতলব হাসপাতাল সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

এই হাসপাতালে গত ২৩ দিনে (১ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ৭২৯ জন ডায়রিয়া রোগী। গড়ে প্রতিদিন ভর্তি হয়েছে ৭৫ জনের বেশি। এ সংখ্যা স্বাভাবিক সময়ের বেশি। ভ্যাপসা গরমে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা।

আইসিডিডিআরবির মতলব হাসপাতালে গত ১ থেকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত ভর্তি হয়েছিলেন ১ হাজার ৩২২ জন ডায়রিয়া রোগী। এর মধ্যে মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণসহ চাঁদপুরের আট উপজেলার বাসিন্দা ৫৬৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২৮৭ ও নারী ২৮০ জন।

চলতি মাসের প্রথম ২৩ দিনে ভর্তি হওয়া ১ হাজার ৭২৯ জনের মধ্যে ৮০৭ জন চাঁদপুরের আট উপজেলার বাসিন্দা। এর মধ্যে পুরুষ ৩৯১ ও নারী ৪১৬ জন। অন্যরা কুমিল্লা, শরীয়তপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী ও ফেনীসহ আশপাশের এলাকার বাসিন্দা।

আজ শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ৪২ জন। আজ বেলা ১১টায় সরেজমিনে দেখা যায়, আইসিডিডিআরবি হাসপাতালের প্রতিটি ওয়ার্ড ডায়রিয়া রোগীতে ঠাসা। নারী ও শিশু ওয়ার্ডে রোগীর চাপ বেশি। একাধিক চিকিৎসক রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন, খোঁজখবর নিচ্ছেন।

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার নয় মাসের শিশু রাফিয়া আক্তার ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। তার মা ফাতিমা বেগম বলেন, ‘ঘন ঘন পাতলা পায়খানা ও বমি অওনে আজ সকালে মেয়েরে এখানে ভর্তি করাইছি। চিকিৎসকেরা খাবার স্যালাইন ও ওষুধ দিয়েছেন। এখন তার অবস্থা ভালার দিকে।’

আইসিডিডিআরবির মতলব হাসপাতালের স্টেশনপ্রধান মো. আল ফজল খান বলেন, ভ্যাপসা গরমে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। অবিশুদ্ধ খাবার গ্রহণ ও দূষিত পানি পান করায় ডায়রিয়া পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। তবে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার মতো প্রয়োজনীয় শয্যা, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও ওষুধের ব্যবস্থা রয়েছে এই হাসপাতালে।

অবিশুদ্ধ খাবার ও দূষিত পানি বর্জনের আহ্বান জানিয়ে আল ফজল বারবার পানির মতো পাতলা পায়খানা হলে, ঘন ঘন বমি হলে, পায়খানার সঙ্গে রক্ত গেলে ও গায়ে জ্বর থাকলে রোগীকে দ্রুত নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

মতলব দক্ষিণ করেসপন্ডেট

Share