বৃহস্পতিবার রাত তখন ২টা। চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার পশ্চিম তীরে বসবাসকারী চরবাসি মানুষরা সবাই গভীর ঘুমে। হঠাৎ মসজিদের মাইকে একজন বলছেন, ‘আপনারা সকলে ঘুম থেকে উঠুন এলাকায় ডাকাত পড়েছে।’ পর্যায়ক্রমে আশপাশের চরগুলোতে মূহর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পরে মাইকিংয়ের শব্দ। চারদিক থেকে মসজিদের মাইকে এমন খবর শুনে সবাই ঘুম থেকে লাফিয়ে ওঠেন।
এসময় ডাকাতের ভয়ে নারী-শিশুসহ চরবাসীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পরে। এক পর্যায়ে প্রতিটি গ্রামে নারী পুরুষরা হাতে লাঠি সোটা নিয়ে ডাকাতদের প্রতিহত করতে বাড়ি উঠোনে দাঁড়িয়ে থাকে। রাত দীর্ঘ হতে হতে ভোর হয়, কারো চোখে ঘুম নেই। বর্তমানে এভাবেই চাঁদপুরের চরবাসী মানুষদের রাত কাটছে। এই ঘটনা শুধুমাত্র চাঁদপুরের চর এলাকাগুলোতেই নয়, ঘটছে চাঁদপুর শহর এলাকাতেও।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে দেশের অন্যান্য জেলা ন্যায়ে চাঁদপুরেও ডাকাত আতঙ্ক প্রকোপ আকার ধারণ করেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে চাঁদপুর শহরের মুসলিম পাড়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় ডাকাত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে শহরবাসীর জেগে ওঠা এবং প্রতিরোধের মুখে ডাকাতদল পালিয়ে যায়।
এদিকে মেঘনার পশ্চিম তীরে চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের কোম্পানির চরে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে বলে শোনা যায়। গ্রামবাসী জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে হঠাৎ একদল ডাকাত কোম্পানি চর এলাকায় হামলা করে। তারা বেশ কয়েকটি স্পিডবোট এবং বড় নৌকা নিয়ে ওই চরে হামলা কারো কারো গরু ছাগল নিয়ে যায়। এ খবর প্রতিটি চরের মসজিদের মাইকে ছড়িয়ে পড়লে গ্রামবাসীর মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। প্রতিটি গ্রামের মানুষ রাত জেগে ডাকাতদের পাহারা দিতে থাকে। বর্তমানে চাঁদপুরের চর এলাকাগুলোতে ডাকাত আতঙ্ক মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।
সেখানকার খেটে খাওয়া মানুষরা এই বিষয়টি চাঁদপুরের প্রশাসন এবং সেনাবাহিনী নজরে এনে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
প্রতিবেদক: আশিক বিন রহিম, ৯ আগস্ট ২০২৪