চাঁদপুর পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের উত্তর রঘুনাথপুর এলাকায় ডাকাতিয়া নদীর ভাঙন চলছে। তীব্র ¯্রােতের টানে রঘুনাথপুর বিভিন্ন স্থান দিয়ে মাটি ধসে পড়ছে।
এর মধ্যে ওয়াপদা বাজারের দক্ষিণ পূর্ব দিকে কাশেম পাটওয়ারীর বাড়ির পেছন দিয়ে ভাঙনের তীব্রতা বেশি । এখান ২৫ মিটার এলাকা জুড়ে নদীতে বিলিন হয়ে গেছে।
ভাঙ্গনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় নদী থেকে সামান্য দূরে চাঁদপুর সেচ প্রকল্প বেড়ী বাঁধ সড়কের অবস্থান।
ভাঙ্গনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে জানা যায়, এবার বর্ষায় কাশেম পাটওয়ারীর বাড়ির প্রায় ৩০ শতাংশ জমি নদীতে ভেঙ্গে নিয়ে গেছ। পাশেই মুক্তিযোদ্ধা হালিম মেজরের বাড়ির ভিটে মাটিও নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে।
রঘুনাথপুর এলাকায় ডাকাতিয়া নদীর ভাঙ্গন প্রবণতা প্রকট আকার ধারণ করায় ওই এলাকার ৪টি গৃহস্থ বাড়ির প্রায় ২০০ পরিবার,ওয়াপদা চৌরাস্তা, মাদ্রাসা,কেজি স্কুল, মোহাম্মদিয়া জামে মসজিদ, পাশের গুচ্ছ গ্রাম এবং রঘুনাথপুর বাজার ও স্কুল এখন হুমকির মুখে।
নদীর অস্তিত্ব ক্রমান্বয়ে বাঁধের পাশে চলে আসছে। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড ব্যবস্থা না নিলে সামাজিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অনেক পরিবার স্বর্বস্ব হারাবে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা শহীদ পাটওয়ারী জানায়, ‘আমাদের বাড়ির প্রায় ২০ শতাংশ ইতি মধ্যে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়াও গাজি বাড়ী, পন্ডিত বাড়িসহ পাশের গুচ্ছগ্রাম মিলিয়ে প্রায় শতাধিক পরিবার ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে।’
স্থানীয় বাসিন্দা সিরাজ পাটওয়ারী জানায়, নদীর ¯্রােতের কারণে আমাদের বাড়ি ঘর এখন ভাঙ্গনের সম্মুখীন। এ ব্যাপারে এখনি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্যে সরকারের নজর দেয়া প্রয়োজন।
অপর বাসিন্দা আরিফ পাটওয়ারী জানায়, বিআইডাব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ নতুন বাজার মধ্য ইচলী এলাকার নির্দ্দিষ্ট স্থানে ড্রেজিং না করায় বিপরীত দিক রঘুনাথপুর পাড় ঘেষে ডাকাতিয়া নদীর তীব্র স্রোত প্রবাহিত হওয়ায় আমাদের বাপ-দাদার ভিটে মাটি নদী ভেঙ্গে নিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি চাঁদপুর পৌর মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা সুজিত রায় নন্দীকে অবগত করা হয়েছে।’
প্রতিবেদক- আনোয়ারুল হক
: আপডেট, বাংলাদেশ ০৭:০৩ পিএম, ০৫ অক্টোবর, ২০১৭ বৃহস্পতিবার
ডিএইচ