ডাকাতির ৬৯ ভরি সোনা উদ্ধার, চাঁদপুরের দুজসহ গ্রেফতার ৮

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় দোকান থেকে ডাকাতি হওয়া ৬৯ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার এবং চাঁদপুরের দুই ডাকাত সদস্যসহ ৮ জনকেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়াও ডাকাতদের কাছ থেকে অস্ত্র, গুলি ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত স্পিডবোট উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার সন্ধ্যা থেকে সোমবার ভোর রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। অভিযান চালানো হয় মুন্সীগঞ্জের মাওয়া, মাদারীপুরের শিবচর, শরীয়তপুরের জাজিরা, রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, গুলিস্থান, কামরাঙ্গীচর ও কেরানীগঞ্জের বাবুবাজার, তাতিবাজার ও নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানা এলাকায়।

সোমবার দুপুর ১২টার দিকে মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য জানান জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন।

গ্রেফতার হওয়া ডাকাতরা হলো, সাব্বির হোসেন ওরফে হাত কাটা স্বপন (৪৯), আরিফ হাওলাদার (২৫), মোহাম্মদ আলী (৪০), বিল্লাল মোল্লা (৩০), আনোয়োার হোসেন (৩২), ফারুক খাঁ (২১), আফজাল হোসেন (৪৭) ও মো. আক্তার হোসেন (৩২)। এদের মধ্যে সাব্বির, বিল্লাল, আফজাল ও আক্তারের বাড়ি শরিয়তপুর জেলায়। আরিফ ও ফারুখ খায়ের বাড়ির মাদারীপুর এবং মোহাম্মদ আলী ও আনোয়ার হোসেনের বাড়ি চাঁদপুর জেলায়।

গ্রেফতার ব্যক্তিদের মুন্সীগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তাদের রিমান্ডের আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন কোর্ট পরিদর্শক মো. জামাল হোসেন।

এর আগে, গত বুধবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে ১৮ থেকে ২০ জন ডাকাত সদস্য সদর উপজেলার চিতলিয়া বাজারের স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি চালায়। ওই সময় বাজারের পাহারাদারদের হাত বেঁধে ফেলে কয়েকটি দোকানে লুটপাট চালায় তারা।

পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন জানান, ঘটনার পরদিন থেকে একাধিক টিম আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চালায়। অভিযানে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি স্পিডবোট, ডাকাতি হওয়া ৬৯ ভরি স্বর্ণালংকার, ম্যাগাজিন পিস্তল, গুলি ও চাপাতি উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ডাকাত চক্রের সাতজন এবং ডাকাতির স্বর্ণালংকার ক্রয়ের অপরাধে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। বাকিদের গ্রেফতার ও স্বর্ণালংকার উদ্ধারে অভিযান চলছে।

তিনি আরো জানান, ডাকাত চক্রটি বংশ পরম্পরায় ডাকাতি করে আসছে। ইতিমধ্যে একটি বড় লঞ্চে ডাকাতির কথাও তারা স্বীকার করেছে। এছাড়াও বিভিন্ন ডাকাতির সাথে তারা জড়িত রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে আরও তথ্য পাওয়া যাবে। তদন্তের স্বার্থে তা গোপন রাখা হচ্ছে।

নিখিল বণিক স্বর্ণ শিল্পালয়ের মালিক রিপন বনিক সাংবাদিকদের বলেন, চার দিন আগে আমাদের দোকান থেকে ১০০ ভরি স্বর্ণালংকার ডাকাতি হয়েছে। সবগুলোই ক্রেতাদের ছিল। সেখান থেকে ৬৯ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার হয়েছে।

Share