বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনাকারী দেশি-বিদেশি সব এয়ারলাইনসকে আকাশপথের ভাড়া ডলারের পরিবর্তে টাকায় নির্ধারণ করতে হবে। মূলত ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্য কমায় আকাশপথের ভাড়া পরিশোধে যাত্রীদের অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় কমাতে এ উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রণালয়।
আগামি ১ জুলাই থেকে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে উল্লেখ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব রোকসিন্দা ফারহানার সই করা গত ১৬ এপ্রিলের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি এয়ারলাইনসগুলো আন্তর্জাতিক গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রে দেশের বাইরে অবস্থিত বিক্রয়কেন্দ্রে সংশ্লিষ্ট দেশের মুদ্রা ‘হেড লাইন কারেন্সি’ হিসেবে ব্যবহার করে। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশ হেড লাইন কারেন্সি হিসেবে সংশ্লিষ্ট দেশের নিজস্ব মুদ্রা ব্যবহার করে থাকে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে কার্যরত দেশি-বিদেশি সব এয়ারলাইনস কর্তৃক বাংলাদেশ থেকে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের ভাড়া নির্ধারণের ক্ষেত্রে হেড লাইন কারেন্সি হিসেবে দেশীয় মুদ্রা, অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকা নির্ধারণ করা হলো। আগামী ১ জুলাই থেকে এটি কার্যকর হবে।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন,বিশ্বের মাত্র চারটি দেশ—বাংলাদেশ, দক্ষিণ কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও তাইওয়ান-মার্কিন ডলারে ফ্লাইট টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করে। তবে, বাকি সব দেশই এ ক্ষেত্রে তাদের নিজস্ব মুদ্রা ব্যবহার করে।
এ প্রসঙ্গে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, সব এয়ারলাইনসকে আগামি ১ জুলাই থেকে ডলারের পরিবর্তে টাকায় ফ্লাইটের ভাড়া নির্ধারণ করতে হবে। ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমায় কিছু এয়ারলাইনস ও ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে ফ্লাইটের টিকিটের জন্য বেশি অর্থ নেয়ার অভিযোগ আসছিল। এ সিদ্ধান্তের কারণে যেসব যাত্রীকে তুলনামূলক বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছিল, তারা উপকৃত হবেন।
৪ মে ২০২৩
এজি