মতলব দক্ষিণ

ঠিকাদারের গাফিলতির কারনে অসহায় বৃদ্ধার বাড়ি নদীগর্ভে

এক ঠিকাদারের গাফিলতির কারনে বয়স্ক অসহায় ব্যাক্তির শেষ সম্বল ভিটা বাড়ি নদীগর্ভে বিলিনের পথে। বসে বসে কান্নাই তার সম্বল। মতলব পৌরসভার বরদিয়া আড়ং বাজারের দক্ষিনে সাবেক স্ট্রীলের ব্রীজ বর্তমানে নির্মানাধীন নতুন ব্রীজ সংলগ্ন খালের পশ্চিমপাড় মোবারকদতি গ্রাম এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটছে।

সরজমিনে জানা যায়, আলহাজ্ব ইলিয়াস ঢালী (৫৮) প্রায চার বছর পূর্বে তার কর্মক্ষম একমাত্র সন্তান মাসুম প্রবাশে মারা যায়। সেখান থেকে কিছু টাকা পায তিনি। সেই টাকা দিয়ে চাঁদপুরের বিঞ্চুপুর হইত মোবারকদী মৌজার আড়ং বাজারের দক্ষিণে দিকে ব্রীজ সংলগ্ন খালেরপাড় জমি কিনে একট বাড়ী তৈরী করে বসবাস করে আসছে।

সম্প্রতি চাঁদপুর মতলব সড়কের আড়ংবাজার সংলগ্ন স্টীলের ব্রীজটি ভেঙ্গে নতুন করে নির্মাণ কাজ শুরু করে ঠিকাদার।ব্রীজটি করতে৷ গিয়ে পশ্চিম পার্শ্বে খালে একটি বাঁধ দেয়া হয়।

ব্রীজের কাজ শেষ হওয়ার পর খালের মাঝে করা বাঁধটি অপসারন না করায় জোয়ার-ভাটার প্রবল স্রোতে খালের পশ্চিম পার্শ্বে গড়ে ওঠা বাড়ীটি ভেঙ্গে নদীগর্ভে চলে যায়।সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বললে জানান,ইলিয়াস ঢালী বহুবার ঠিকাদারের লোকজনের সাথে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হলেও কোন কর্ণপাত করেনি তারা।

তাই তিনি প্রতিদিন বসে বসে কান্না করে আর আল্লাহকে ডাকে। ঠিকাদারের দেয়া দায়িত্ব পালনকারী মোঃ মোস্তফিজুর রহমান ও আলম সরকারসহ অন্যান্যরা সেই বাদ অপসারনের কোন ব্যাবস্তা না নেয়ায় ওই লোকটির কষ্টে করা বাড়ীটি বিলিন হয়ে যাচ্ছে।

ইসমাঈল ঢালী কান্না কন্ঠেে বলেন,আমি বৃদ্ধ মানুষ, রোজগার করার মত আমার কেউ নাই। এক ছেলে বিদেশে মারা গেছে সেখান থেকে পাওয়া টাকা দিয়েই এ বাড়িটি করেছি। ঠিকাদারকে বহুবার বলেছি এবং তার নিয়োগকরা সহকারী ঠিকাদারকেও বলেছি তারা আমার কথার কোনো গুরুত্বই দেশ না।এখন সরকারের কাছে আমার আকুতি, আমার বাড়ীটি যপন রক্ষা করে দেন।

ঠিকাদার মোস্তাফজিুর রহমান বলেন, মাটি অপসারনের কাজ আমাদের। কিন্তু হটাৎ পানিবৃদ্ধির কারনে সম্ভব হয়নি।বৃদ্ধার বিষয়টি আমি এসে ব্যবস্থা নেবো।

প্রতিবেদক:মাহফুজ মল্লিক,৬ সেপেটম্বর ২০২০

Share