চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ১১ জনের জানাজা নামাজ শেষে তাঁদের নিজ নিজ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে জানিয়েছেন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহীদুল আলম।
নিহতরা হলেন-৮ নম্বর ওয়ার্ডের আজিজ মেম্বার বাড়ির জানে আলমের ছেলে ওয়াহিদুল আলম জিসান (২৩), মজিদ আব্বাস চৌধুরী বাড়ির বাদশা চৌধুরীর ছেলে শিক্ষক রিদুয়ান চৌধুরী (২২), পারভেজের ছেলে সাগর (১৭), একই এলাকার আবদুল ওয়াদুদ মাস্টার বাড়ির আবদুল মাবুদের ছেলে ইকবাল হোসেন মারুফ (১৭), ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোজাফফর আহমেদের ছেলে মোসহাব আহমেদ হিসাম (১৬), আব্দুল আজিজ বাড়ির মৃত পারভেজের ছেলে তাসমির হাসান (১৭), মনসুর আলমের ছেলে মো. মাহিম (১৭), ২ নম্বর ওয়ার্ডের আবু মুসা খান বাড়ির মোতাহের হোসেনের ছেলে মোস্তফা মাসুদ রাকিব (১৯), উপজেলার আজিম সাবরেজিস্ট্রার বাড়ির হাজি মো. ইউসুফের ছেলে মাইক্রোবাসচালক গোলাম মোস্তফা নিরু (২৬), চিকনদণ্ডী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মো. ইলিয়াছ ভুট্টোর ছেলে মোহাম্মদ হাসান (১৭) ও একই ইউনিয়নের খোন্দকার পাড়ার আবদুল হামিদের ছেলে জিয়াউল হক সজীব (২২)।
জানা গেছে, নিহত জিয়াউল হক সজীব, ইকবাল হোসেন মারুফ, রিদুয়ানুল হক চৌধুরী, গোলাম মোস্তফা নিরু ও সামিরুল ইসলাম হাসানের জানাজা নামাজ একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ছাড়া আরও ৪ জনের জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে নিজ নিজ এলাকায়। অপর ২ জনের জানাজা গতকাল রাতে অনুষ্ঠিত হয়। পরে তাঁদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
এদিকে, নিহতদের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে হাটহাজারীর পরিবেশ।
জানাজা নামাজে অংশ নেন স্থানীয় সাংসদ ব্যারিস্টার আনিসুল ইসরাম মাহমুদ, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ প্রশাসক এম. এ সালাম, হাটহাজারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম রাশেদুল আলম, হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহিদুল আলম, স্থানীয় চিকনদণ্ডী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাসান জামান বাচ্চু প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গতকাল শুক্রবার সকালে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার আমানবাজার এলাকা থেকে একটি মাইক্রোবাসযোগে খৈয়াছড়া ঝরনা দেখতে যান ওই তরুণেরা। ভ্রমণ শেষে বেলা পৌনে ১টার দিকে ফেরার পথে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মহানগর প্রভাতি ট্রেনটি মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দিলে দুর্ঘটনাস্থলেই ১১ জন নিহত হন।
বার্তা কক্ষ, ৩০ জুলাই ২০২২