চাঁদপুর

চাঁদপুরে ট্রেনে চাপা পড়ে কিশোর গুরুতর আহত : ঢাকায় প্রেরণ

চাঁদপুর ট্রেনের নিচে পড়েও ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেলো মো. নাঈম হোসেন (১৪) নামের এক হকার কিশোর। কাথায় আছে রাখে আল্লাহ মারে কে।

বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সদর উপজেলার মধুরোড রেল স্টেশনে পাশে এ ঘটনা ঘটে।

আহত কিশোর কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার পাইক পাড়া গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে।

কিশোর নাঈম জানায়, সে প্রতিদিন বিভিন্ন ট্রেনে করে চাঁদপুর থেকে লাকসাম রুটে পাপ্পন ভাজা (ভূট্টা ভাজা) বিক্রি করে। বুধবার দুপুরে সে চাঁদপুর রেলওয়ের বড় স্টেশন থেকে পাপ্পন ভাজা বিক্রির জন্য সাগরিকা ট্রেনে চরে। ট্রেনটি মধুরোড রেল স্টেশনে থামালে নাঈম এক বগি থেকে অন্য বগিতে যাওয়ার জন্য স্টেশনে নামে। তখন স্টেশন ট্রেন ছেড়ে দিলে সে দৌঁড়ে চলন্ত ট্রেনে উঠার সময় পা ফসকে ট্রেনে নিচে পড়ে গুরুতর ভাবে আহত হয়।

ভাগ্যক্রমে সে ট্রেনের চাকার নিচে না পড়ে ট্রেনের বগি এবং ফ্ল্যাটপর্মের সাথে আঘাত পেয়ে আহত হন। প্রত্যক্ষদর্শীরা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে এনে ভার্তি করান।

হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক নাজমুল আবেদীন জানান, ট্রেনের আঘাতে তার দু রানের হাড় মারাত্মক ভাবে ভেঙ্গে গেছে। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার প্রয়োজন। কিন্তু তার পরিবারের কেউ না থাকাতে বর্তমানে তাকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।

পরে বুধবার রাতে লাকসাম থেকে তার বাবা বাবুল মিয়া খবর পেয়ে চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে আসলে স্থানীয়দের সহযোগিতায় টাকা উঠিয়ে তাকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়।

প্রসঙ্গত, ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত নাঈম ৩ ভাই এক বোনের মধ্যে সে সবার ছোট। তার বাবা বাবুল মিয়াও লাকসাম রেল স্টেশনে পাপ্পন ভাজা বিক্রি করেন। বড় দুই ভাই সুমন এবং রাসেল ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকুরি করেন।

প্রতিবেদক- কাবির হোসেন মিজি
।। আপডটে, বাংলাদশে সময় ০৩ : ০০ এএম, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ বৃহস্পতিবার
এইউ

Share