বিতর্কিত ক্রিমিয়ার সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করল রাশিয়া। এজন্য নির্মিত হয়েছে ১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি সেতু, যার নাম ‘ক্রিমিয়া ব্রিজ’। গতকাল সেতুটির ওপর দিয়ে নিজে ট্রাক চালিয়ে উদ্বোধন করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
সেতুটি তৈরি করা হয়েছে কের্চ প্রণালীর ওপর দিয়ে। এতে ব্যয় হয়েছে ৩.৬৯ বিলিয়ন ডলার। ইউরোপের দীর্ঘতম সেতু এটি। ডিসেম্বরে সেতুটির নির্মাণকাজ সমাপ্ত হওয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের আগেই সেতুটির কাজ শেষ হলো। ২০১৫ সালে সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। এতে চারটি সড়ক লেন এবং দুটি রেলপথের জন্য লাইন রয়েছে।
মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট একটি কমলা রঙের ট্রাক চালিয়ে সেতুটি উদ্বোধন করেন। অতীতে এ পথে ফেরি চলাচল করত। তবে তা আবহাওয়ার ওপর নির্ভরশীল ছিল। প্রায়ই বাজে আবহাওয়ার কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকত।
ক্রিমিয়া ভূখণ্ড আগে ইউক্রেনের অংশ ছিল। তবে ২০১৪ সালের মার্চে এক গণভোটের মাধ্যমে কৃষ্ণ সাগরের তীরবর্তী ক্রিমিয়া রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়। ওই ভোটে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পক্ষে বেশির ভাগ ভোট পড়ে। এরপর রাশিয়ার সঙ্গে ক্রিমিয়া যুক্ত হয়। তবে রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপের একীভূত হওয়াকে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে পশ্চিমা জোট। তবে পশ্চিমা মতামত অস্বীকার করে রাশিয়া ক্রমে ক্রিমিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি করে এবং ব্যয়বহুল এ সেতুটি তৈরি করে।
রাশিয়া ও ক্রিমিয়ার মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করতে সেতুটি নির্মিত হয়েছে। স্থানীয় লোকজন ওই সেতুকে ‘পুতিন সেতু’ হিসেবে নামকরণ করেছে। ১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ ওই সেতু ইউরোপের দীর্ঘতম সেতু। রাশিয়ার সরকারি গণমাধ্যম এ সেতুকে শতাব্দীর সেরা নির্মাণ বলে আখ্যা দিয়েছে।
ভিডিও