বিদ্যালয়ের পুরোনো লোহার বেঞ্চ, জানালার গ্রিল, পরিত্যক্ত জিনিসপত্রসহ মূল্যবান আসবাবপত্র গোপনে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সহকারী প্রধান শিক্ষক হাসিনা আক্তারের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে, ফরিদগঞ্জ উপজেলার সদরে অবস্হিত ঐতিহ্যবাহী আবেদুর রেজা পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে।
এ ঘটনায় স্থানীয় অভিভাবক, শিক্ষক এবং এলাকাবাসীর মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। প্রধান শিক্ষক ছুটিতে থাকায় সহকারী প্রধান শিক্ষকের এমন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ হয় স্থানীয় এলাকাবাসী।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, বিদ্যালয়ের পুরোনো লোহার বেঞ্চ, জানালার গ্রিল,পরিত্যক্ত জিনিসপত্রসহ মূল্যবান আসবাবপত্র ২ লক্ষ টাকার উপরের মালামাল মাত্র ৫৮ হাজার টাকা বিক্রি করা হয়। প্রতিষ্ঠানে লোহার বেঞ্চ সংকট, কয়েক জোড়া বেঞ্চে জ্বালাই ও কাঠ লাগালে ব্যাবহারে উপযোগী করা যেতো, তিনি তা না করে, কাউকে না জানিয়ে আসবাবপত্রগুলো বিক্রি করেদেন। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের কয়েকদিন পরে প্রধান শিক্ষক ছুটিতে চলে যান, এই সুযোগে তিনি নিজেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দাবি করে বিদ্যালয়ের কাগজ পত্র ও ফাইলগুলোতে স্বাক্ষর প্রদান করেন।এমনকি বিদ্যালয়ের ইউনিফর্ম এক কালার করা নামে নতুন ডিজাইনের ইউনিফর্ম বানাতে বলেন, সেখানে এক জোড়া জুতার মূল্য দাঁড়ায় ২০০০-২৫০০ টাকা।যাহা একটি উপজেলার বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের পক্ষে কিনা সম্ভব না বলে বিভিন্ন অনলাইন ফেসবুকে ও প্রকাশ পায়। এবং কয়েকজন অভিভাবক অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
এই বিষয় সহকারী প্রধান শিক্ষক হাসিনা আক্তার বলেন, এতটাকার আসবাব পত্র হবে আমার জানা ছিল না, আমি ভাবছি ৫-৭ হাজার টাকার মালামাল হবে তাই বিক্রি করে দিছি,বিভিন্ন ফাইলে ও নোটিশে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক লেখার বিষয় তিনি বলেন কারো কোন অভিযোগ থাকলে আর লিখবো না। ইউনিফর্ম বিষয়ে তিনি বলেন আমি প্রতিষ্ঠানে সবার একেই ইউনিফর্ম (কালার) করার বিষয় বলছি, পরিবর্তন করতে বলে নাই। দাম বেশি হওয়ায় জুতার বিষয়টি পিটি সুজ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন নিয়মবহির্ভূত কোন কাজ করা হয়েছ কিনা তা আমি খতিয়ে দেখবো।
উল্লেখ্য, গত ২২ অক্টোবরে তার বিরুদ্ধে দশম শ্রেণির মাসিক বেতন সরকারি বেতন থেকে ২৩০ টাকা বেশি নেওয়ায় বিভিন্ন পত্রিকা নিউজে হলে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বাড়তি টাকা ফেরত প্রদান করেন তিনি।
প্রতিবেদক: শিমুল হাছান, ২৭ অক্টোবর ২০২৪