তরপুরচন্ডীতে টিসিবির পণ্য বিতরণ নিয়ে বিএনপি নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব

চাঁদপুর সদর উপজেলার ৭নং তরপুরচন্ডী ইউনিয়নে টিসিবির পণ্য বিতরণকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। ২ অক্টোবর বুধবার রাতে ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আইয়ুব আলী খন্দকারের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এই হাতাহাতির ঘটনা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শেখ মো. নাজমুল আহসান ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন মিজী আহত হন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তরপুরচন্ডী ইউনিয়নে ৭৪০ জন পরিবার টিসিবি পণ্যের কার্ডধারী। বুধবার সকাল থেকে কার্ডধারী পরিবারের মাঝে ৫ কেজি চাল ২ কেজি তেল এবং ২ কেজি ডাল ৪৭০ টাকায় বিনিময়ে বিতরণ করা হয়। ঐদিন কার্ডধারী ৭৪০ জন পরিবারের মধ্যে ৬৩৫টি পরিবার উপস্থিত ছিল। অনুপস্থিত বাকি ১০৫টি কার্ডের পণ্যগুলো ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে এবং ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দের তত্ত্বাবধানে দরিদ্র পরিবারের মাঝে ৪৭০ টাকার (জনপ্রতি) বিনিময়ে বিতরণ করা হয়। ঐদিন রাত ১০ টায় টিসিবির পণ্য বিতরণ নিয়ে ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আইয়ুব আলী খন্দকারের দোকানের ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শেখ মো.নাজমুল আহসান ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন মিজীর কথা কাটাকাটি হয়। যা এক পর্যায়ে দুজনের মধ্যে হাতাহাতিতে রূপ নেয়। এ সময় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শেখ মো. নাজমুল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন মিজী আহত হন।

এ বিষয়ে তরপুরচন্ডী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মনসুর আহমেদ বলেন, আমরা সুন্দর মত টিসিবির পণ্য বিতরণ করেছি। এই দিন ৭৪০ জন কার্ডধারীর মধ্যে ৬৩৫ জন উপস্থিত ছিলেন। বাকি কার্ডের পণ্যগুলো সেখানে উপস্থিত দরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। আমাদের পরিষদে কোন মারামারির ঘটনা ঘটেনি।

ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন মিজী বলেন, টিসিবির পণ্য বিতরণ নিয়ে আমাদের মধ্যে কোন মারামারি ঘটনা ঘটেনি। তবে সভাপতি এবং আমারদের মধ্যে নিজেদের বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে। স্থানীয় একটি চক্র দলের বদনাম করতে মিথ্যা অপবাদ ছড়াচ্ছে।

ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শেখ মো. নাজমুল আহসান বলেন, টিসিবির পণ্য বিতরণকালে আমি ইউনিয়ন পরিষদের ধারে কাছেও যাইনি। রাত ১০ টায় ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন মিজী ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আইয়ুব আলী খন্দকারের দোকানে টিসিপি ডিলার নিয়ে কথা বলছিলেন। তখন আমি তাকে দলের বদনাম হয় এমন কোন কাজ না করতে বলি। ‌সে তখন আমার সাথে চিৎকার চেঁচামেচি করে। এক পর্যায়ে সে আমাকে মারতে উদ্যত হয়। এসময় সে নিজেই মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হন।

এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বইছে। বর্তমানে ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীরা কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

স্টাফ রিপোর্টার, ৩ অক্টোবর ২০২৪

Share