পৌর নির্বাচনকে সরকারের দূরভিসন্ধি উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ক্ষমতাসীনরা ভেবেছিল বিএনপি নির্বাচনে আসবে না। তারা এককভাবে নির্বাচন করে জনপ্রিয়তা প্রমাণ করতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদের পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দিয়ে নির্বাচনে এসেছি। এবং নির্বাচনের ফলাফল পর্যন্ত আমরা মাঠে থাকব।’
তিনি বলেন, ‘পৌর নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নিয়ে আমরা বিজ্ঞাপন তৈরি করেছিলাম। কিন্তু সরকারের খবরদারিতে কোনো মিডিয়া সেটি প্রচার করতে সাহস পায়নি।’
সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে কৃষকদলের ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।
পৌর নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা সরকারের ফাঁদে পা দিইনি। আমরা দেখাতে চাই বাংলাদেশের মানুষ ধানের শীষের সাথে আছে। আওয়ামী লীগকে বর্জন করেছে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী সরকার গণতন্ত্রের মুখোশ পড়ে একদলীয় কায়দায় দেশ চালাচ্ছে। এর মোকাবিলা করতে হবে। আমাদের সামনের দিকে পাড়ি দিতে হবে এবং এ পথ মসৃণ নয়। সাহস করে দাঁড়াতে হবে। জনগণকে সাথে নিয়ে গণতান্ত্রিকভাবেই প্রতিরোধ করতে হবে। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে যেকোনো মূল্যে গণতন্ত্র রক্ষা করব।’
গণতন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে এমন দাবি করে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘আমাদের সভা-সমাবেশ করতে দেয়া হয় না। এখন বলা হচ্ছে সভা করতে হলে পুলিশের অনুমতি লাগবে। এই হলো বর্তমান গণতন্ত্র।’
কৃষকেরা কৃষিকাজ ছেড়ে দিচ্ছেন উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ কৃষকেরা চরম অবহেলায় পড়ে আছে। তারা ন্যায্যমূল্য পায় না। অথচ জিয়াউর রহমান কৃষি ইনস্টিটিউট করে কৃষিকাজকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে দেশ স্বয়সম্পূর্ণ করেছেন জিয়াউর রহমান।’
পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির ৬ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।
আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান দুদুর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কৃষকদলের সহ সভাপতি এম এ তাহের, নাজিম উদ্দিন মাস্টার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তকদির হোসেন জসিম প্রমুখ।
।। আপডেট : ০৩:৪০ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৫, সোমবার
ডিএইচ