সরকার সাতটি বিভাগে ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোরীদের জরায়ু ক্যানসারের বিরুদ্ধে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস টিকা কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। আগামি ২৪ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এ টিকাদান কর্মসূচি চলবে ১৮ দিন।
১৭ ডিজিটের জন্মনিবন্ধন নম্বর দিয়ে www.vaxepi.gov.bd ওয়েবসাইটে টিকার জন্য নিবন্ধন করা যাবে। চট্টগ্রাম,রাজশাহী,খুলনা,বরিশাল,সিলেট,রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের সব জেলা, উপজেলা,সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোরী এই টিকা নিতে পারবে। এই সাতটি বিভাগে ৬২ লাখ ১২ হাজার ৫৩২ জন কিশোরীকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য হাতে নিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার ২২ অক্টোবর রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে‘এইচপিভি ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন ২০২৪’বিষয়ক জাতীয় অ্যাডভোকেসি সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় জানানো হয়,শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ইপিআই কেন্দ্রে এ টিকা পাওয়া যাবে। সেখান থেকে পঞ্চম থেকে নবম বা সমতুল্য শ্রেণির কিশোরীরা টিকা পাবে। যারা স্কুলে ভর্তি হয়নি এবং বয়সসীমার মধ্যে পড়ে,তারাও ইপিআই সেন্টার থেকে টিকা নিতে পারবে। এর আগে গত বছর ঢাকা বিভাগের প্রায় ১৫ লাখ কিশোরীকে এ পর্যন্ত এইচপিভি টিকার একটি ডোজ দেওয়া হয়েছে।
বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বক্তারা অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং বাংলাদেশ থেকে কীভাবে জরায়ুমুখের ক্যানসার নির্মূল করা যায়,সে বিষয়ে বক্তব্য দেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ বলেন,আমাদের ক্যাম্পেইন ২৪ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে ১৮ দিন চলবে। আমাদের লক্ষ্য সাতটি বিভাগে ৬০ লাখেরও বেশি কিশোরীকে এ পরিষেবা সরবরাহ করা। প্রত্যেক স্টেকহোল্ডারের সহযোগিতায় এ ক্যাম্পেইন সফল হবে বলে আশা করা যায়।
সভায় ইউনিসেফের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ এমা ব্রিগহাম বলেন,অল্প বয়সী মেয়েদের স্বাস্থ্য ও অধিকার অবশ্যই সুরক্ষিত করতে হবে। এই ক্যাম্পেইন ইভেন্টটি বাংলাদেশের লাখ লাখ মেয়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট। আসুন আমরা বাংলাদেশের লাখ লাখ মেয়ের স্বাস্থ্য ও ভবিষ্যৎ রক্ষায় একযোগে কাজ করি।
বাংলাদেশে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ ড.রাজেশ নারওয়াল বলেন,জরায়ুমুখের ক্যানসারের কারণে আমরা অনেক প্রাণ হারাই। তবে এটি প্রতিরোধযোগ্য। সমাধান আমাদের হাতেই আছে। জরায়ুমুখের ক্যানসার শুধু প্রতিরোধযোগ্য নয়, নির্মূলও করা যায়। এ ক্যাম্পেইনের সাফল্য শুধু জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধেই নয়,২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে রোগ নির্মূলে এটি একটি বড় পদক্ষেপ।
সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা.মো.আবু জাফর। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা.নাজমুল হোসেন, ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল কাজী মো.রশীদ-উন-নবী,জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (নিপোর্ট) মহাপরিচালক ডা.আশরাফী আহমদ,প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড.মো.আব্দুল হাকিম,পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো.সাইফুল্লাহিল আজম,মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এ বি এম রেজাউল করীম প্রমুখ।
চাঁদপুর টাইমস রিপোর্ট
২৩ অক্টোবর ২০২৪
এজি
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur