দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ভ্যাক্সিনেশন কার্যক্রমের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজের আওতায় এসেছেন ১২ কোটি ৭১ লাখ ৬৪ হাজার ৩২৩ জন।
দু’ডোজ টিকা পেয়েছেন ১০ কোটি ৩১ লাখ ৩০ হাজার ৪৭৮ জন মানুষ। এ সময়ে টিকার বুস্টার (তৃতীয়) ডোজ পেয়েছেন ৮১ লাখ ৬৪ হাজার ২১১ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনার টিকাদান বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
এতে স্বাক্ষর করেছেন অধিদপ্তরের মেনেজমেন্ট ইনফরমেশন শাখার (এমআইএস) পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান।
এতে বলা হয়েছে, ২৮ মার্চ সারা দেশে প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে এক লাখ ৯৫ হাজার ৬০৫ জনকে। দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়েছে ৬৪ লাখ ৫৯ হাজার ৩০৯ জনকে এবং বুস্টার ডোজ দেয়া হয়েছে তিন লাখ ৮৩ হাজার ৪৪৪ জনকে।
এগুলো দেওয়া হয়েছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা,সিনোফার্ম,ফাইজার, মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা। গত ১ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশে ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়।
অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৭২ লাখ ৩৪ হাজার ৯০০ জন শিক্ষার্থী টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে। আর দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে ১ কোটি ৪৯ লাখ ১৫ হাজার ৪১৮ জন। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ টিকার অপেক্ষায় রয়েছেন ২৩ লাখ ১৯ হাজার ৪৮২ জন শিক্ষার্থী।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত একদিনে ১৩ হাজার ২৬৭ জন শিক্ষার্থী প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছে। আর দ্বিতীয় ডোজ টিকা পেয়েছে ৪ লাখ ৪০ হাজার ৭২১ জন।
এদিকে দেশে এ পর্যন্ত ২ লাখ ৩ হাজার ৩০৬ জন ভাসমান জনগোষ্ঠী টিকার আওতায় এসেছেন। তাদের জনসন অ্যান্ড জনসনের সিঙ্গেল ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দেশে করোনা টিকার নিবন্ধন শুরু হয় গত ২৭ জানুয়ারি। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। ১৮ বছর বয়সী যেকোনো মানুষ এখন টিকা নিতে পারছেন।
২৯ মার্চ ২০২২
এজি