সারাদেশে এক দিনে এক কোটি ডোজ কভিড-১৯ টিকাদানের কাজ শুরু হয়েছে দেশ জুড়ে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে দেশের বিভিন্ন টিকাদান কেন্দ্রে শুরুর আগেই দীর্ঘ লাইন দেখা যাচ্ছে। বিশেষ এ কর্মসূচিতে দেয়া হচ্ছে টিকার প্রথম ডোজ। তাই ভোর বেলা থেকেই সর্বস্তরের জনগণ টিকা কেন্দ্রে এসে ঘন্টার পর ঘন্টা সারিবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন।
করোনা মহামারি প্রতিরোধে জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ মানুষকে প্রথম ডোজের আওতায় আনতে দেশব্যাপি শুরু হয়েছে ‘একদিনে এক কোটি কভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম’। এ কার্যক্রমের আওতায় টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে টিকা নিতে আসা মানুষের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।
একইসঙ্গে ব্যাপক আগ্রহে টিকা নিচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশা এবং বয়সের মানুষ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,আর প্রথম ডোজ করোনা টিকা দেয়া হবে না, তাই কেন্দ্রে কেন্দ্রে টিকা নিতে আসা মানুষের ঢল নেমেছে। টিকা প্রত্যাশী অসংখ্য নারী-পুরুষ গাদা গাদি করে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকার জন্য অপেক্ষা করছেন।
রাজধানীর মুগদা ৫শ’ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে সকাল ৯ টার দিকে গিয়ে দেখা যায়, জন্ম নিবন্ধন সনদ কিংবা জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে মানুষ। কেউ কেউ টিকা কার্ডও নিয়ে এসেছেন। টিকা গ্রহীতাদের লাইন হাসপাতালের বাহিরের পর্যন্ত চলে এসেছে।
রাজধানীর বিভিন্ন টিকাদান কেন্দ্রে মানুষের ভীড় দেখা গেছে। বাসাবো খেলার মাঠে অস্থায়ী টিকা কেন্দ্রে টিকা দিতে এসেছেন স্থানীয় গৃহিণী ঝর্ণা বেগম। তিনি বলেন,ভোটার আইডি নেই, জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করা নেই। তাই এতদিন টিকা নিতে পারিনি। এখন জন্ম নিবন্ধন বা ভোটার আইডি কার্ড লাগবে না,তাই টিকা নিতে এসেছি।
বাংলাদেশে গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ দেয়া শুরু হয়। দু’মাস পর ৮ এপ্রিল শুরু হয় দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার কার্যক্রম। আর গত বছরের (২০২১ সালের) ২৮ ডিসেম্বর তৃতীয় ডোজ বা বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এর মধ্যে গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে ৭৬ লাখ ডোজের বেশি টিকা দেয়া হয়েছিল এক দিনে।
এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে একদিনে ১ কোটি ডোজ টিকা দেয়ার ঘোষণা দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ওইদিন জানানো হয় ২৬ ফেব্রুয়ারির পর প্রথম ডোজ টিকা দেয়া হবে না।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে,শুক্রবার পর্যন্ত সারাদেশে ১০ কোটি ৯৫ লাখ ৮১ হাজারের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৮ কোটি ১৯ লাখ এবং বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ৩৫ লাখ ৫৯ হাজারের বেশি মানুষ। বাসস
২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
এজি