অবশেষে রপ্তানির অনুমতি পাওয়ার পর ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে ১০ লাখ ডোজ কোভিশিল্ড টিকা দেশে এসে পৌঁছেছে। সাত মাস পর শনিবার সন্ধ্যায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে টিকার এই চালান আসে।
বিমানবন্দরে টিকার চালান গ্রহণ করেন বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের কর্মকর্তারা।ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন জানিয়েছে, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী এসব টিকা পাঠানো হয়েছে।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা পুনের প্ল্যান্টে উৎপাদন করে কোভিশিল্ড নামে বাজারজাত করছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকা উৎপাদনকারী কোম্পানি সেরাম ইনস্টিটিউট।
এ কোম্পানি থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি ডোজ ‘কোভিশিল্ড’ কিনতে গত বছরের নভেম্বরে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করে বাংলাদেশ। এরপর জানুয়ারিতে ৬০০ কোটি টাকার বেশি অগ্রিম হিসেবে দেয় সরকার, যা টিকার মোট দামের অর্ধেক।
চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা আসার কথা ছিল। গত ২৫ জানুয়ারি প্রথম চালানে ৫০ লাখ ডোজ এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় চালানে ২০ লাখ ডোজ টিকা আসে বাংলাদেশে।
পাশাপাশি ভারত সরকারের উপহার হিসেবে ২১ জানুয়ারি আরও ২০ লাখ ডোজ এবং ২৬ মার্চ ১২ লাখ ডোজ কোভিশিল্ড পেয়েছে বাংলাদেশ।
মার্চে ভারতে করোনাভাইরাস মহামারি চরম আকার ধারণ করলে সেদেশের সরকার এপ্রিলে টিকা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়।