Home / চাঁদপুর / চাঁদপুরে টিকা কেন্দ্রে হাজারো নারীর বিড়ম্বনা
টিকা

চাঁদপুরে টিকা কেন্দ্রে হাজারো নারীর বিড়ম্বনা

চাঁদপুরে নারীদের প্রধান টিকাদান কেন্দ্রে হাজার হাজার নারী টিকা গ্রহিতাদের ভিড় লক্ষ করা গেছে। ৬ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল দুপুর পর্যন্ত লেডি প্রতিমা মিত্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (নারী টিকা কেন্দ) মাঠে নারীদের ছিল দীর্ঘ লাইন। লাইনে দাঁড়ানো নারীদের মুখে মাস্ক থাকলেও সবাই গা–ঘেঁষাঘেঁষি করে লাইনে দাঁড়ান। তীব্র ভিড় থাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে বেগ পেতে হয়েছে স্বাস্থ্য কর্মী ও রেড ক্রিসেন্ট সদস্যদের।

কেন্দ্রে নিয়োজিত স্বাস্থ্য কর্মী ও রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা জানান, করোনা টিকা ৫ দিন বন্ধ থাকায় হঠাৎ এই ভিড় শুরু হয়। দূর দূরান্তে থেকে আসা অনেকেই বিপাকে পড়েছেন। সকাল সাতটা থেকে টিকার জন্য নারী-পুরুষ লাইনে দাঁড়াতে শুরু করেন। পুরুষ টিকা কেন্দ্রে কোন ভিড় না থাকলে বেলা বাড়ার সাথে সাথে নারী টিকা কেন্দ্র ভিড় বাড়তে শুরু করে। সকাল ১০ টার মাঠে সহস্রাধিক নারী জড়ো হয়ে যায়। অনেকেই অসুৃস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

টিকা

হাজার হাজার নারী রোদ্রের মধ্যে দাড়িয়ে

টিকা কেন্দ্রে আসা আফরোজা বলেন, সকাল ১০টার সময় লাইনে দাড়িয়ে আছি, এখন টিকা দিতে পারিনি। হাজার হাজার নারী রোদ্রের মধ্যে দাড়িয়ে আছে। অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। স্বাস্থ্যবিভাগের কারনে আমাদের কষ্ট পহাতে হচ্ছে। জানিনা টিকা নিয়ে বাড়ি যেতে পারবো কিনা।

রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্য মো. ওমর বলেন, আমরা আগেই বলেছিলাম, যাদের টিকার এসএমএস আসেনি, তারা যেনো কেন্দ্রে না আসে। সবাই একসাথে আসার কারনে ভিড় হয়েছে। সকাল থেকে ভিড় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে আমাদের কষ্ট পহাতে হয়েছে। যাদের এসএমএস না আসে, তারা টিকা দিতে পারবে না।

চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডা. শাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, নারী-পুরুষ মিলে আমাদের ১০টি বুথ রয়েছে। সকাল ৯টা থেকে ৩টা পর্যন্ত সবাই টিকা দিতে পারবেন। ১০টি বুতে তিন হাজার মানুষের জন্য টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এসএমএস এসছে এবং এসএমএস আসেনি এমন টিকা গ্রহীতা নারী কেন্দ্রে আসায় মূলত ভিড় হয়েছে। যারা এসেছেন, চেষ্টা থাকবে যুতটুকু সম্ভব তাদের টিকা দেওয়া।

তিনি আরও বলেন, চাঁদপুরে ৩ লক্ষ ৪০ হাজার জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। আরও দুই লক্ষের উপরে রেজিস্ট্রেশন করা আছে। মাসে আমি সর্বোচ্চ দিতে পারবো ৯০ হাজার। সেই হিসেব করে মেবাইলে এসএমএস পাবে। কিন্তু অনেকে না বুজেন কেন্দ্রে এসে হাঙ্গামা করে। প্রত্যেকের কাছে এসএমএস যাবে। সবাই টিকা পাবে। কারন এখন মানুষের মাঝে টিকা নেওয়ার আগ্রহ বেড়েছে। যারা টিকা কেন্দ্রে চলে আসছে, তাদেরকে টিকা দেওয়া চেষ্টা চলছে।

প্রতিবেদক: শরীফুল ইসলাম, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১