চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় উৎসবমুখর পরিবেশে ছেংগারচর পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে গণটিকাদান কর্মসূচির অংশ হিসেবে উপজেলার ছেংগারচর পৌসভা ও ইউনিয়নগুলোতে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়েছে টিকাদান কর্মসূচি।
৭ আগস্ট শনিবার সকাল ৯টা থেকে উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়নে শুরু হয়েছে গণটিকাদান কর্মসূচি বিকেল তিনটা পর্যন্ত চলে। উপজেলার ১৫টি টিকাদান কেন্দ্রের মাধ্যমে একযোগে ৯ হাজার মানুষকে টিকা প্রদান করা হয়। এর মধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ৬শ’৮০ জন, মহিলা ৪ হাজার ৩শ’২০ জন ।
মতলব উত্তরে জাতীয় কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজী শরীফুল হাসান।
এসময় মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুসরাত জাহান মিথেন, এমওডিসি ডা. মোঃ জাবেদ ইকবাল, মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট ইপিআই ভাষান চন্দ্র কীর্তনীয়া, ছেংগারচর পৌরসভার সচিব শাহ সুফিয়ান খান, প্যানেল মেয়র আঃ মান্নান বেপারী, কাউন্সিলর মোঃ রুহুল আমিন মোল্লা, মোঃ শাহাদাত হোসেন খোকন ঢালী, মোঃ আল-আমিন সরকার, মোঃ রুহুল কুদ্দুস, মোঃ বোরহান উদ্দিন প্রধান, মোঃ আহসান হাবীব, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম, মিল্লাতুনেছা মিলি, শিউলী বেগম, সহকারী পরিদর্শক সুভাষ চন্দ্র, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক রোকেয়া খানম, স্বাস্থ্য সহকারী কামাল হোসেন শাহনাজ আক্তার, পরিবার কল্যান পরিদর্শক মারফত আলী মজুমদার,ভিজিটর রুপালী আক্তার, পরিবার কল্যান সহকারী সেলিনা আক্তার, রওশান জাহান, সিএইচসিপি মোহন মোল্লা, আরিফ হোসেন, মাহফুজা আক্তারসহ স্বাস্থ্য বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তা ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন কর্মসূচি পালন করা হয়।
ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রতিটি কেন্দ্রে ৩টি করে বুথ ও পৌর এলাকায় প্রতিটি কেন্দ্রে একটি করে বুথ স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি বুথে ২০০জন মানুষকে টিকা দেয়া হয়। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত টিকা প্রদান করা হয়। গণটিকাদান কর্মসূচিতে স্বাস্থ্য সহকারী, পরিবার কল্যাণ সহকারী, এমএসবি স্বেচ্ছাসেবক টিম টিকা প্রদান করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজী শরীফুল হাসান, মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুসরাত জাহান মিথেন, এমওডিসি ডা. মোঃ জাবেদ ইকবাল, উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নগুলোর কয়েকটি গণটিকাদান কর্মসূচি পরিদর্শন করেন।
মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুসরাত জাহান মিথেন জানান, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে গণটিকাদান কর্মসূচির অংশ হিসেবে এখানে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। সকাল ৯টায় তিনটি বুথ শুরু হওয়া এই টিকাদান কর্মসূচি চলে বিকেল তিনটা পর্যন্ত। তবে এখানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বয়স্ক ব্যক্তি, নারী ও শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং মুক্তিযুদ্ধাদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। ৬দিন বিরতির পর আগামী ১৪ আগস্ট থেকে ১৯ আগস্ট পর্যন্ত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কমসূচি পালন করা হবে।
উপজেলা পরিষদ বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস বলেন, আমরা উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের টিকাদান কেন্দ্র পরিদর্শন করি। টিকা গ্রহণ মানুষের ব্যাপক সারা জেগেছে। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসনসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের স্বেচ্ছাসেবীরা টিকা গ্রহণকারীদের সার্বিক সহযোগিতা করছে। তিনি আরও বলেন সার্ভারের সমস্য থাকার কারনে রেজিষ্ট্রেশন করা সম্ভব হচ্ছে না, তবে ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি (এনআইডি নাম্বার নিয়ে) সিনো ফার্মের টিকাকার্ড অনুযায়ী নাম ঠিকানা লিখে দেয়া হচ্ছে টিকা।
তিনি আরও জানান, টিকাদান কর্মসূচি সফল করতে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এতে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। একই সাথে যাদেও অক্লান্ত পরিশ্রমে এ আজকে গণটিকাদান কর্মসূচির মানুষের ব্যাপক সারা জেগেছে যারা দায়িত্ব পালন করেছে প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা,জনপ্রতিনিধি,আ’লীগ,যুবলীগ,ছাত্রলীগ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজী শরীফুল হাসান বলেন,টিকাদান কর্মসূচি সফল করতে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এতে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের টিকাদান কেন্দ্র পরিদর্শন করি। টিকা গ্রহণ মানুষের ব্যাপক সারা জেগেছে। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক উপজেলা পরিষদ সার্বক্ষনিক মনিটরিংয়ে রয়েছে। কোভিড-১৯ গণটিকা দান কার্যক্রম জনমনে স্বস্তি ও মুক্তির সুবাতাস ছড়িয়েছে। এখন টিকা গ্রহণের আগ্রহের যে জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে তাতে শরীক না হলে কারও জীবন যদি বিপন্ন ও সংশয়গ্রস্ত হয় তার জন্য নিজেকেই দায়ী হতে হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক