চাঁদপুরের আট উপজেলার ৮৯ ইউনিয়নে এবং দুইটি পৌরসভায় এক লাখ ৯২ হাজার জনকে নিবন্ধন ছাড়াই টিকা দেওয়া হবে। এর মধ্যে জেলার ৮৯টি ইউনিয়নে দেওয়া হবে এক লাখ ৬০ হাজার ২০০ জনকে, চাঁদপুর পৌরসভায় ১৮ হাজার এবং হাজীগঞ্জ পৌরসভায় দেওয়া হবে ১৪ হাজার ৪০০ জনকে। আগামী ৭ আগস্ট থেকে ১২ আগস্টের মধ্যে যেকোনও তিন দিন চীন থেকে আসা করোনার টিকা তাদের দেওয়া হবে।
প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে এ কার্যক্রম চলবে উল্লেখ করে চাঁদপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, ‘এ টিকা নিতে কোনও নিবন্ধন লাগবে না। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যে কেউ ন্যাশনাল আইডি কার্ড নিয়ে এসে টিকা নিতে পারবেন। যাদের টিকা দেওয়া হবে কেন্দ্রেই তাদের তালিকা তৈরি হবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি ইউনিয়নের সাবেক ১নং ওয়ার্ডে অর্থাৎ বর্তমান ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ডে টিকা দেওয়া হবে। আগামী ৭ আগস্ট থেকে ১২ আগস্টের মধ্যে রুটিন টিকাদানের দিন বাদ দিয়ে তিন দিন এ কার্যক্রম চলবে। প্রতিদিন প্রত্যেক ওয়ার্ডে ৬০০ করে তিন ওয়ার্ডে এক হাজার ৮০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে। অর্থাৎ প্রথম ধাপে একটি ইউনিয়নে এক হাজার ৮০০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।’
সিভিল সার্জন বলেন, ‘পৌরসভার একটি ওয়ার্ডের একটি কেন্দ্রের একটি বুথে প্রতিদিন ২০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে। এ হিসেবে চাঁদপুর পৌরসভার ১৫টি ওয়ার্ডে প্রতিদিন টিকা দেওয়া হবে তিন হাজার জনকে। আর ছয় দিনে দেওয়া হবে ১৮ হাজার মানুষকে। হাজীগঞ্জ এবং চাঁদপুর পৌরসভা ছাড়া অন্যকোনও পৌরসভায় টিকা কার্যক্রম না থাকায় সেগুলোতে হচ্ছে না। তবে ওই পৌর এলাকাগুলো ইউনিয়নভিত্তিক পাবে। আশা করি, ২-৩ আগস্টের মধ্যেই আমরা টিকা পেয়ে যাবো। এরপর প্রতিটি ইউনিয়ন এবং পৌরসভায় হিসাব অনুযায়ী পাঠিয়ে দেবো।’
‘আমাদের এখন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং সদর হাসপাতালে রুটিন টিকা কার্যক্রম চলছে। আগামী ৭ আগস্টের আগেই টিকা চলে আসবে। এর পরের মাসে হবে ২, ৩, ৪নং ওয়ার্ডে। এছাড়া যারা অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তারাও খুব দ্রুত দ্বিতীয় ডোজ পেয়ে যাবে।’
চাঁদপুর করেসপন্ডেট, ২ আগস্ট ২০২১