জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি কার্ড) না থাকা ব্যক্তিদের করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা দিতে বিশেষ প্রক্রিয়ায় নিবন্ধন করা হবে। গত ২৭ জুলাই আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এনআইডি না থাকাদের বিশেষ ব্যবস্থায় টিকা দেয়া নির্দেশনা দিয়ে বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিবের কাছে চিঠি পাঠানো হয়।
গত ২৭ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামি ৭ আগস্ট থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি কার্ড) ব্যবহার করে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে টিকা দেয়া হবে বলে চিঠিতে বলা হয়।
এতে আরও বলা হয়, ১৮ বছরের ওপরে অথচ এনআইডি কার্ড নেই, এই ধরনের জনগোষ্ঠীকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে পর্যায়ক্রমে টিকা দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাশাপাশি জনসাধারণকে টিকাদান কেন্দ্রে নেয়ার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে।
তবে বিশেষ প্রক্রিয়াটি কী হবে- সেই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু চিঠিতে উল্লেখ করা হয়নি।
এই চিঠির অনুলিপি প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব, সকল বিভাগীয় কমিশনার, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, সকল জেলা প্রশাসকের (ডিসি) পাঠানো হয়েছে।
গত ২৭ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘টিকা দেয়ার বিষয়ে আমরা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। সেই কারণে আমরা ইউনিয়ন পর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদে টিকাকেন্দ্র স্থাপন করছি। যেখান থেকে ইউনিয়নের সমস্ত লোকজন, আপামর জনসাধারণ যারা টিকা নিতে চান, তারা ওখানে এসে টিকা নিতে পারবেন। এই সুবিধাটা আমরা করে দিচ্ছি। তারা এনআইডি কার্ড নিয়ে আসলেই টিকা দিতে পারবেন।’
আগামি ৭ আগস্ট থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে করোনা টিকা দেয়ার কার্যক্রম শুরু হবে বলেও জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
বার্তাকক্ষ, ৩০ জুলাই, ২০২১;