১৮ বছরের উর্ধ শিক্ষার্থীরাও টিকা পাবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

আঠারো বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এর আগে টিকা নেয়ার বয়সসীমা ৪০ বছর থেকে কমিয়ে ৩৫ বছর করে সরকার।

দেশে বেশি সংক্রমণ হচ্ছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট দিয়ে। বর্তমানে করোনাভাইরাসের রিপ্রোডাকশন রেট এক দশমিক ৪২। সংক্রমণ বাড়ছে। ১ জুন থেকে ৮ জুলাই পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১ লাখ ৮৭ হাজার মানুষ এবং মারা গেছে ৩ হাজার ১৩২ জন। মৃত্যুহার এক দশমিক সাত শতাংশ।প্রতিদিন সংক্রমণ বাড়ছে, সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুও।

দেশে এখন পর্যন্ত টিকার একটি ডোজ দেওয়া হয়েছে সাড়ে তিন শতাংশ মানুষকে এবং দুটি পূর্ণ ডোজ দেয়া হয়েছে মাত্র দুই দশমিক সাত শতাংশকে। এখন পর্যন্ত সর্বসাকুল্যে এক কোটির কিছু বেশি টিকা দেয়া হয়েছে।

দেশে এখন মজুদ আছে প্রায় ৫৬ লাখ ডোজ টিকা,যা দিয়ে আরও ২৮ লাখ মানুষকে টিকার দুটি পূর্ণ ডোজ দেয়া যাবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন,‘বাংলাদেশের করোনাভাইরাস প্রায় সব বিভাগে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী। দেশে ১৫ হাজার বেড রয়েছে,এর মধ্যে ৭৫ শতাংশ বেডে রোগী আছে। এ পরিস্থিতিতে সংক্রমণের হার কমাতে হবে। সংক্রমণের হার কমাতে হলে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।’

সংক্রমণের হার কমলে রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকবে,স্বাস্থ্যসেবায় বিরাট চাপ পড়বে। আমাদের অর্থনীতি বিপর্যস্ত হবে। মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হবে। বিভিন্ন খাতে এর প্রভাব পড়বে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন,‘খুলনা এবং রাজশাহী বিভাগে সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়ে গিয়েছিল। আশার কথা হলো, এখন কিছু কিছু জেলায় সংক্রমণ কমেছে। আমরা লক্ষ্য করেছি,এবার সংক্রমণ গ্রামে-গঞ্জে বেশি,শহরে কম।

গ্রামের মানুষ মনে করে,সাধারণ সর্দি-কাশি যে কারণে চিকিৎসা নিতে দেরি করে। যারা বয়স্ক আছেন তারা বেশি মারা যাচ্ছেন। আমরা ফিল্ড হাসপাতাল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

বার্তা কক্ষ , ১৮ জুলাই ২০২১

Share