Home / উপজেলা সংবাদ / কচুয়া / টানা ১৭ দিন যুদ্ধ করে মৃত্যুর কাছে হেরে গেলেন কচুয়ার আজাদ প্রধান
মৃত্যুর
আওয়ামীলীগ নেতা আজাদ প্রধান

টানা ১৭ দিন যুদ্ধ করে মৃত্যুর কাছে হেরে গেলেন কচুয়ার আজাদ প্রধান

কচুয়া-হাজীগঞ্জ-গৌরিপুর সড়কে মর্মান্তিক দূর্ঘটনায় আহত হয়ে টানা ১৭দিন মৃত্যুর সাথে যুদ্ধ করে অবশেষে মারা গেলেন আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জি. আবুল কালাম আজাদ প্রধান (৫১)।

রোববার বিকাল ৫টার দিকে ঢাকার মগবাজার হলিফ্যামেলি হাসপাতালে আইসিউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি (ইন্নালি…. রাজিউন)। নিহত আবুল কালাম আজাদ প্রধান উপজেলার মাঝিগাছা গ্রামের মৃত. ফজলুর রহমান প্রধানের ছেলে ও উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি এবং ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপির ব্যক্তিগত সহকারী রাজীব আহমেদ রাজুর বড় ভাই।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি বিকালে গুড়িগুড়ি বৃষ্টির মধ্যে হাজীগঞ্জে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে অটোসিএনজি যোগে বাড়ি ফেরার পথে কচুয়া পৌর এলাকার কড়ইয়া নামক স্থানে পৌছলে আবুল কালাম আজাদসহ ৫জন মারাত্মক দূর্ঘটনায় আহত হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে প্রথমে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। পরবর্তীতে তার বুকে ও মাথার অবস্থার বেগতিক দেখে তাকে ঢাকার মগবাজার হলিফ্যামেলি হাসাপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৭দিন পর মারা যান তিনি।

রবিবার বিকালে তাঁর মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে নিহতের পরিবার,আত্মীয় স্বজন ও দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। রবিবার রাত ৯টায় মাঝিগাছা প্রধানীয়া বাড়ির হাফেজিয়া এতিমখানা মাদ্রাসা মাঠে জানাযা শেষে মরহুমের লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। তার মৃত্যুতে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি,বিতারা ইউপি চেয়ারম্যান ইসহাক সিকদারসহ দলীয় নেতাকর্মীরা গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন।

এর আগে উল্লেখিত ওই ঝুঁকিপূর্ন সড়কে বিআরটিসি বাস ও অটো রিক্সার মুখোমুখি সংর্ঘর্ষে তিন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও চালকসহ ৪জন নিহত হলেও এখনো পর্যন্ত সড়ক বিভাগের টনক নড়েনি। ওই সড়কে বিভিন্ন স্থানে বাক সরলীকরন,স্প্রীড ব্রেকার ও চার লাইন বিশিষ্ট সড়ক করার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।

প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২