তিনদিন হঠাৎ করে নিম্নচাপ আর টানা বর্ষণ। বছরের সেরা বর্ষনে সি আই পি বেড়ি বাঁধের ভেতর ফরিদগঞ্জের সর্বত্র সৃষ্টি হয়েছে কৃত্তিম জলাবদ্ধতা। ভেসে গেছে মাছের ঘের বেশরিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত মাছচাষিরা।
তিন দিনের ভারি বর্ষনে রাস্তাঘাট, বাড়ি এমনকি বহু বসতঘরে পানি উঠেছে। কোন কোন নিম্নাঞ্চলের ঘরে দুই থেকে আড়াই ফুট পানি পর্যন্ত জমা হয়েছে।
উপজেলার একটি পৌরসভা এবং ১৫টি ইউনিয়নে ১৭৭টি গ্রাম। হঠাৎ ভারি এবং বর্ষণে তৈরী হয়েছে জলাবদ্ধতা। তলিয়ে গেছে বেশীরভাগ গ্রম্যরাস্তা, বেশ কিছু বাড়ীঘর, ভেসে গেছে চাষীদের মৎস্য ঘের।
মৎস্য বিভাগের জরিপ মতে প্রায় ১০ হাজার ৭০০টি পুকুর ও মৎস্য ঘেরের মাছ ভেসে গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক নিষ্কাশনের জন্য বেশ কিছু পাম্প চালু করলেও যেখানে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো না বা ড্রেন নাই সে অঞ্চলের পানি নামছে না। ফরিদগঞ্জ পৌরসভার ড্রেনেজ ব্যবস্থা একেবারেই বেহাল। পানি বা জলাবদ্ধতা দূরীকরনে দীর্ঘকাল যাবৎ কোন পদক্ষেপই নেওয়া হয় নাই।
পূববর্তী মেয়রের আমলে সদরে সামান্য কিছু অংশে ড্রেন করলেও অতি সুরু হওয়ায় এবং ঢাকনা না থাকায় ময়লা,আবর্জনায় ভরে আছে পানি নামার কোন উপায় নেই। আবার ড্রেন নির্মাণের সময়ই কিছু অংশ ভেঙ্গে গেছে যা অদ্যবদী পুনঃনির্মান বা সংস্কার করা হয়নি।
বিল বা জমি ভরাট করে অপরিকল্পিতভাবে বাড়িঘর নির্মান, কালভার্ট বা ড্রেন না রেখে রাস্তা তৈরীে আরো একটি বড় কারন।
এ সমস্য নিরসনে বর্তমানে কোন এলাকার প্রতিনিধি বা সরকারী দপ্তরের কাউকেই কোন রকম পদক্ষেপ বা মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শন করে সাধারনের সাথে কথা বলতে দেখা যায় নাই।
প্রতিবেদক:শিমুল হাছান,২৬ অক্টোবর ২০২০