টাইটানিকের কথা সবাই জানি। ডুবে গিয়ে বিখ্যাত হয়েছে জাহাজটি। সে সময়ে এত বড় জাহাজও দ্বিতীয়টি ছিল না। কিন্তু এবার টাইটানিককেও হার মানালো একটি জাহাজ। যার নাম ‘ওয়েসিস অব দ্য সিজ’। যার আয়তনের কাছে টাইটানিক কিছুই নয়।
জানা যায়, টাইটানিকের চেয়ে আকারে ৫ গুণ বড় জাহাজটি। ২ লাখ ২৫ হাজার ২৮২ টন ওজনের জাহাজটি লম্বায় ১ হাজার ১৮৭ ফুট, চওড়ায় ২০৮ ফুট। এছাড়া পানির নিচে প্রায় ৩০ ফুট কাঠামো রয়েছে। ‘এসটিএক্স ইউরোপ’র তৈরি যাত্রীবাহী জাহাজটির মালিকানা রয়্যাল ক্যারাবিয়ান ইন্টারন্যাশনালের।
বিলাসবহুল জাহাজটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে প্রায় দেড়শ’ কোটি ডলার। ২০০৬ সালে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০০৮ সালের নভেম্বরে প্রথম পানিতে নামে জাহাজটি। ২০০৯ সালে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে যাত্রা শুরু করে। ২২ তলা বিশিষ্ট জাহাজটিতে রয়েছে ১৬টি ডেক এবং ২ হাজার ৭০০টি বিলাসবহুল কেবিন। ৫ হাজার ৪০০ যাত্রী বহন করতে পারে এটি। এতে ২ হাজার ১০০ জন কর্মী রয়েছে। পেছনের অংশে ৭৫০ আসন বিশিষ্ট থিয়েটার, ৪টি সুইমিং পুল, একটি আস্ত ভাসমান উদ্যান রয়েছে। উদ্যানে ১২ হাজার চারা গাছ এবং ৫৬টি বড় গাছ রয়েছে।
৭ ভাগে বিভক্ত এ জাহাজে রয়েছে সেন্ট্রাল পার্ক, পুল, ফিটনেস সেন্টার, একাধিক পানশালা, রেস্তোরাঁ, ক্যাসিনোসহ একাধিক বিনোদন কেন্দ্র। এতে চড়ে উত্তর ক্যারিবিয়ান সাগরে মোট ৯ রাত, ৯ দিন ঘুরতে হলে গুণতে হবে ১ হাজার ৪৫৮ মার্কিন ডলার। প্রমোদতরীটির সি ফেসিং স্যুটগুলোর ভাড়া ৩ হাজার ২০০ মার্কিন ডলার। তবে টাকা থাকলেই টিকিট সহজে পাওয়া যায় না। এই বিলাসবহুল জাহাজে বিনোদনের স্বাদ পেতে প্রায় দেড় থেকে দুই বছর আগেই বুকিং করতে হবে।