চাঁদপুর

চাঁদপুরে ঝড়ের তাণ্ডবে দু’যাত্রীবাহী লঞ্চ আটকা ও একটি নিমজ্জিত

চাঁদপুর-ঢাকার মধ্যে চলাচলকারী এমভি তুতুল-৭ ও বোগদাদিয়া-৭ যাত্রীবাহী লঞ্চ মেঘনা নদীর লগ্গীমারার চর ও চিরায়ের চর এলাকায় যাত্রী নিয়ে আটকা পড়েছে।

শুক্রবার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যায় এসব লঞ্চ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এছাড়াও, চাঁদপুর-নারায়নগঞ্জের মধ্যে চলাচলকারী এমএল মমতাজ নামে আরেক যাত্রীবাহী লঞ্চ ষাটনল এলাকায় যাত্রীদের নামিয়ে যাওয়ার সময় পেছনের অংশ পানিতে নিমজ্জিত হয়।

চাঁদপুর লঞ্চঘাটের লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি আলী আজগর সরকার বলেন, বিকেল ৩টায় এমভি তুতুল ৫০০ যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। ঝড়ের কবলে পড়ে এটি সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর লগ্গীমারারচর চরে আটকা পড়ে। লঞ্চটি উদ্ধারের জন্য চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে ঈগল-৩ নামক আরেকটি লঞ্চ ঘটনাস্থলের দিকে রওয়ানা হয়েছে।

আরেক লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি রহুল আমিন বলেন, বিকেল ৫টায় চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে বোগাদাদিয়া-৭ ৪০০ যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হয়। এটিও ঝড়ো হাওয়ার কারণে রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের চিরায়েরচর নামক স্থানে গিয়ে আটকা পড়ে। রাত ৮টার দিকে ওই লঞ্চটি ঘটনাস্থল থেকে পুনরায় ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছে।

চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাশিম বলেন, নারায়গঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা এমএল মমতাজ লঞ্চের যাত্রীদের দুর্ঘটনার আগেই ষাটনল এলাকায় নামিয়ে দেওয়া হয়। পরে ছেড়ে আসার সময় এটির পিছনের অংশ পানিতে নিমজ্জিত হয়।

চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এমএল মমতাজ উদ্ধার করার জন্য চেষ্টা চলছে। ঘটনাস্থলে বিআইডাব্লিউটিএর কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়েছে।

চাঁদপুর নৌ-পুলিশের দায়িত্বরত পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশ মেঘনা নদীর চাঁদপুর সীমানায় তৎপর ছিলো। বোগদাদিয়া-৭ উদ্ধার হওয়ার জন্য পুলিশ সহায়তা করেছে। এটি এখন ঢাকার পথে রয়েছে। আর তুতুল লঞ্চটি উদ্ধার করে আনার জন্য নৌ-পুলিশ কাজ করছেন।

প্রতিবেদক- মাজহারুল ইসলাম অনিক

Share