চাঁদপুর কচুয়া উপজেলার এলজিইডি’র আওতাধীন বাঁচাইয়া-তুলপাই ভায়া মেঘদাইর সড়কটি যানবাহন ও লোকজন চলাচলের দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তুলপাই, প্রসন্নকাপ, সহদেবপুর, মেঘদাইর, নাংলা, বাঁচাইয়া, ভূঁইয়ারা, এনায়েতপুর, দোজানা, বক্সগঞ্জ গ্রামের প্রায় পঞ্চাশ হাজার লোকের কচুয়া সদরসহ ঢাকা যাতায়াতের জন্য এ সড়কটি হচ্ছে একমাত্র অবলম্বন। অথচ এ সড়কের চারটি ব্রিজের জরাজীর্ণ অবস্থা।
তিন যুগ পূর্বে নির্মিত এ জরাজীর্ণ ব্রিজগুলো হচ্ছে, মেঘদাইর বাজার সংলগ্ন ব্রীজ, নাংলা ব্রিজ, সহদেবপুর সংলগ্ন ব্রিজ ও একই গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ির উত্তর পাশের ব্রিজ। মেঘদাইর বাজার সংলগ্ন ব্রিজের টপস্লাবে বড় গর্ত, নাংলা ব্রিজের টপস্লাবে গর্ত ও রেলিং নেই বললেই চলে, সহদেবপুর মোড় সংলগ্ন ব্রিজে রেলিংয়ের কোন অস্তিত্ব নেই। টপস্লাবের মাঝখানে বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। গর্তটি মেরামতের জন্য স্থানীয় অধিবাসীরা উপজেলা প্রকৌশল বিভাগে দফায় দফায় দৃষ্টি আকর্ষন করে ব্যর্থ হয়।
সরেজমিনে জানা গেছে, স্থানীয় এলাকাবাসীর আর্থিক সহায়তায় গর্ত মেরামত করে কোর রকম যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করে। এ গর্তটি মেরামত করা হলেও টপস্লাবের অপর অংশে গর্ত সৃষ্টি হচ্ছে। নাংলা ব্রিজের রেলিংয়ের ভাংচুর অবস্থা। টপস্লাবে গর্ত সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া অপর দুটি ব্রিজের জরাজীর্ণ অবস্থা। টপস্লাবে দিনের পর দিন গর্ত সৃষ্টি হচ্ছে। উক্ত চারটি ব্রিজই খুব ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোন সময়ে ব্রিজে ধসে পড়ে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
এমনি সম্ভাব্য দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে প্রতিনিয়ত রিক্সা, সিএনজি, টমটম, ট্রাক, মাইক্রো ইত্যাদি শত শত যানবাহন চলাচল করছে। এছাড়া উক্ত সড়কে মেঘদাইর গ্রাম অংশে প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়কের কার্পেটিং উঠে গিয়ে ক’ফুট অন্তর অন্তর গর্তের সৃষ্টি হয়েছ। দিনের পর দিন এসব গর্তের পরিধি বেড়ে চলছে। সহদেবপুর পাটওয়ারী বাড়ির উত্তর পাশে সড়কের দু’পাশে রয়েছে পুকুর। এ স্থানের প্রায় ১শ ফুট অংশ দু’দিক থেকেই ধসে পড়ছে পুকুরে। এ ধসে পড়া অব্যাহত থাকলে উক্ত সড়ক ধরে যানবাহন চলাচল যে কোন সময় সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
স্থানীয়রা জানান, ব্রিজেগুলো ঝুঁকিপূর্ন ও সড়কের জরাজীর্ণ অবস্থা।ব্রিজ ও রাস্তা মেরামত করার জন্য উপজেলা প্রকৌশল বিভাগে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। এখনো কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেয় হয়নি।
উপজেলা প্রকৌশলী সৈয়দ জাকির হোসেন জানান, জরাজীর্ণ সড়ক ও ব্রিজ মেরামতে একটি প্রকল্প গ্রহণ করে অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদন পেলে প্রাক্কলন তৈরি করা হবে।
প্রতিবেদক:জিসান আহমেদ নান্নু,২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০