শীর্ষ সংবাদ

ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে দশ সহস্রাধিক মানুষের চলাচল

‎Friday, ‎15 ‎May, ‎2015   10:57:49 PM

শরীফুল ইসলাম, চাঁদপুর :

চাঁদপুর সদর উপজেলার ৭নং তরপুরচন্ডী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের (উত্তর-পশ্চিম তরপুরচন্ডী) পুরান্দপুর খালের ওপর কালভার্ট না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে প্রতিদিনই কয়েক সহস্রাধিক মানুষ চলাচল করছে।

নড়বড়ে সাঁকোটি দিয়ে চলাচল করতে প্রায় প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে গ্রামের মানুষজন। এখন পর্যন্ত সাঁকো দিয়ে খাল পেরুতে গিয়ে ১০ জন স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এদের কারো হাত, আবার কারো পা ভেঙ্গেছে।

ক’জন এলাকাবাসীর কথা বলে জানা যায়, পুরান্দপুর খালের ওপর নির্মিত সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ১০ সহস্রাধিক মানুষ পারাপার হয়।

খাল পেরিয়ে প্রতিদিন গ্রামের মানুষজন সদর উপজেলায়, স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় যাতায়াত করে।

তরপুরচন্ডী জিএম ফজলুল হক উচ্চ বিদ্যালয়, পশ্চিম তরপুরচন্ডী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আলী দাখিল মাদ্রাসা, আদর্শ শিশু একাডেমী ও আল শরীফ হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন এ সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে হয়।

গ্রামবাসীরা চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ওই স্থানে সেতুর জন্য অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় ৭নং তরপুরচন্ডী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার রফিকুল ইসলাম অস্থায়ী এ সাঁকোটি তৈরি করে দেয়।

এ যাবতকাল পর্যন্ত সাঁকোটি বহুবার মেরামত করা হয়েছে। প্রতি বছর নতুন বাঁশ লাগিয়ে সাঁকোটির সংস্কার করা হলেও মানুষ চলাচলের চাপে এক বছরও স্থায়ী হয় না। সম্প্রতি সাঁকোটি পুনরায় চলাচলের অনুপযুক্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

গ্রামবাসীর দাবি, এ স্থানে কালভার্ট নির্মাণ করা হলে ছেলেমেয়েদের স্কুল-কলেজে যাতায়াতসহ সব ধরনের কাজকর্ম করতে সুবিধা হতো।

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার রফিকুল ইসলাম চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, পুরান্দপুর খালের ওপর কালভার্ট নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। এ বিষয়ে বিভিন্ন সময় স্থানীয় সাংসদ ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে। চাঁদপুর ৩ আসনের সাংসদ ডা. দীপু মনি এই নির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা রাখবেন বলে আশা করি। ইতিমধ্যে আমরা কালভার্টটির জন্য বরাদ্দ চেয়েছি।

Share