‘টানা তিন বছর’ ধরে খোলা আকাশের নিচে চলছে পাঠদান। পরিত্যাক্ত ঘোষনাও করা হয়েছে বহুদিন আগে। কিন্তু শ্রেণি কক্ষের অভাবে কখনো খোলা আকাশের নিচে, কখনো ঝুকিপূর্ণ ভবনের বারান্দার নিচে ও খোলা মাঠে চলছে শিক্ষাকার্যক্রম।
ক’বছর আগে বিদ্যালয়টিতে প্রায় ২ শতাধিক শিক্ষার্থী থাকলেও বর্তমানে কমে নেমেছে শ’তের কোটায়। অধিকাংশ শিক্ষার্থী প্রাণহানি ও বড় ধরনের দুর্ঘনার আশংকায় বিদ্যালয়ে আসা ছেড়ে দিয়েছে।
একাডেমিক ভবন, বিদ্যুৎ সংযোগ, ব্রিজ, যাতায়াতের রাস্তা না থাকা ও আসবাব পত্রের অভাবে চরম সমস্যার বোঝা মাথায় নিয়ে চলছে চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ১৩৮নং আয়মা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বিদ্যালয়টিতে গিয়ে করুন দৃশ্য দেখা যায়।
অভিভাবক ও এলাকাবাসির সাথে আলাপকালে জানা যায়, ১৯৯৫ সালে এলাকার শিক্ষানুরাগী ও ব্যবসায়ী সুবল চন্দ্র দাস এলাকার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবিস্তারের চাহিদা মেটাতে প্রায় ৪১ শতাংশ ভূমিতে বিদ্যালয়টি স্থাপন করেন। বিদ্যালয়ে বর্তমানে শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ১’শ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষক রয়েছে ৫ জন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জহিরুল ইসলাম চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘বিদ্যালয়টি একটি দ্বীপের মতো, কারণ এর চারদিকে খাল রয়েছে। এসব খালে ব্রিজ না থাকায় ও এলাকাটি নিচু হওয়ায় বছরের অধিকাংশ সময় মাঠে পানি জমাট থাকে। বিশেষ করে বিদ্যায়টি অধিক ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনায় মারাত্মক বেঘাত ঘটছে।’
বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি শ্রী বংক বিহারী সাহা চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘ ভবনটি জরাঝীর্ণ হওয়ায় স্থানীয় প্রশাসন অনেক আগেই ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু প্রশাসনের কাছে বারবার চেষ্টা তদবির করেও কোন সুফল পাওয়া যায়নি।’
এ ব্যাপারে কচুয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার হেমায়েতুল ভূইয়া ফারুক চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘কচুয়ায় যে কয়টি ঝুকিপূর্ণ বিদ্যালয় রয়েছে আয়মা সপ্রাবিও একটি। ঝুকিপূর্ণ বিদ্যালয়গুলো তালিকা করে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।’
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৫:০০ পিএম, ০৬ অক্টোবর ২০১৬, বৃহস্পতিবার
ডিএইচ