শীর্ষ সংবাদ

ঝরে গেল ১১টি প্রাণ

ভোর হতে না হতেই পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ঝরে গেল ১১টি তাজা প্রাণ। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো অন্তত ৩৪ জন। ঘন কুয়াশা ও বেপরোয়া গতিই এ দুর্ঘটনার কারণ বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

শনিবার (৯ জানুয়ারি) ভোর থেকে সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে টাঙ্গাইল,  চুয়াডাঙ্গা, জয়পুরহাট ও পাবনায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

টাঙ্গাইল: ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে পৃথক দুর্ঘটনায় ছয়জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরো অন্তত ২০ জন।

এর মধ্যে এ মহাসড়কের পূর্বপাড়ে ট্রাক-বাস সংঘর্ষে চারজন নিহত হন। ভোরে ঘন কুয়াশার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

এছাড়া সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সেতুর ওপর আরো একটি দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে একজন ও হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরো একজন মারা যান। এ দুর্ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হন।

চুয়াডাঙ্গা: সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর এলাকায় দু’টি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই বাসের চালকসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরো ১০ জন।

দামুড়হুদা থানার ওসি লিয়াকত হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

জয়পুরহাট: জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার আওয়ালগাড়ী এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বেলাল হোসেন (৪২) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন তার সঙ্গী জহুরুল ইসলাম।

শনিবার সকাল ৯টার দিকে আক্কেলপুর-জামালগঞ্জ সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত বেলাল হোসেন জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার দেওগ্রামের মৃত হবিজ উদ্দীনের ছেলে।

পাবনা: পাবনা সদর উপজেলার মনোহরপুর এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় সুইট (২৪) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরো তিনজন। সকাল ৮টার দিকে পাবনা-ঈশ্বরদী সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত সুইট  সদর উপজেলার ছোট মনোহরপুর গ্রামের আজমত আলীর ছেলে।

পাবনা সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ  আল হাসান জানান, সকালে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে পাবনা শহরে আসছিলেন সুইট। পথে ঈশ্বরদীগামী একটি ট্রাক ওই অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে আহত হন সুইটসহ অটোরিকশার চার যাত্রী। এ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে পাবনা মেডিকেল কলেজ  হাসপাতালে নিলে  চিকিৎসক সুইটকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ১২:০৫ পিএম, ০৯ জানুয়ারি ২০১৬, শনিবার

এমআরআর  

Share