Home / আন্তর্জাতিক / গাজায় খাদ্য-জ্বালানি সংকট চরমে, বেকারি বন্ধ, সাহায্য বিতরণও আটকে
gaza ---

গাজায় খাদ্য-জ্বালানি সংকট চরমে, বেকারি বন্ধ, সাহায্য বিতরণও আটকে

ইসরায়েলের অবরোধের কারণে গাজা উপত্যকায় খাদ্য ও জ্বালানি সংকট চরমে পৌঁছেছে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি বুধবার ২ এপ্রিল জানিয়েছে,গাজায় তাদের সহায়তাপ্রাপ্ত সব বেকারি বন্ধ হয়ে গেছে। জ্বালানি ও আটার তীব্র অভাবে এ বেকারিগুলো আর চালানো সম্ভব হচ্ছে না। খবর মিডলইস্টমনিটর।

ডব্লিউএফপি এক বিবৃতিতে বলেছে,”গাজায় আমাদের সহায়তাপ্রাপ্ত ২৫টি বেকারি এখন বন্ধ। জ্বালানি ও আটার অভাবে এগুলো আর চালানো যাচ্ছে না।” সংস্থাটি সতর্ক করে দিয়ে জানিয়েছে,গাজার মানুষের জন্য তাদের গরম খাবার সরবরাহ প্রোগ্রামটি আর মাত্র দু’সপ্তাহ চলতে পারে। এছাড়া খাদ্য সহায়তা বিতরণ কার্যক্রমও আগামি দু দিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে ডব্লিউএফপি।

মঙ্গলবার জাতিসংঘ ইসরায়েলের দাবি খারিজ করে দিয়েছে যে, গাজায় পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ রয়েছে। জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এক সংবাদ সম্মেলনে ইসরায়েলের এ দাবিকে “হাস্যকর ও অবিশ্বাস্য” উল্লেখ করে বলেন, “মানবিক সাহায্যের সরবরাহ বিপজ্জনকভাবে কমে গেছে। এখন যতটুকু মজুদ আছে, তারও প্রায় শেষ পর্যায়ে আমরা।”

গত ১৮ মার্চ ইসরায়েল হঠাৎ করেই গাজায় বিমান হামলা চালায়। এতে এক হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং দু হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়। এর মাধ্যমে জানুয়ারিতে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সম্পাদিত যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি ভেঙে দেয়া হয়। গাজায় গণহত্যা পুনরায় শুরু করার আগে,ইসরায়েল মার্চের শুরুতে গাজার সব প্রবেশপথ বন্ধ করে দেয়, যার ফলে অবরুদ্ধ এ উপত্যকায় কোনো ধরনের মানবিক সহায়তা ও জরুরি পণ্য প্রবেশ করতে পারছে না।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে গাজায় এখন পর্যন্ত ৫০ হাজার ৩০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

৩ এপ্রিল ২০২৫
এজি