Home / আন্তর্জাতিক / ইরান-চীন জ্বালানি তেল নেটওয়ার্কে নতুন নিষেধাজ্ঞা
FWEL

ইরান-চীন জ্বালানি তেল নেটওয়ার্কে নতুন নিষেধাজ্ঞা

ইরান থেকে চীনে জ্বালানি তেল পাঠানোর একটি নেটওয়ার্কের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

ইরান থেকে চীনে জ্বালানি তেল পাঠানোর একটি নেটওয়ার্কের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর আওতায় পড়বে আন্তর্জাতিক এ নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত ট্যাংকার ও নাবিকরাও। খবর এফটি।

গত মাসে দায়িত্ব নেয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ইরানের অর্থনীতির ওপর ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের নীতি অনুসরণ করছে। এর অংশ হিসেবে নতুন করে এ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলো।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, একটি নেটওয়ার্ক লক্ষ্য করে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়েছে। নেটওয়ার্কটি অবৈধভাবে ইরানি সামরিক বাহিনীর জন্য তহবিল সংগ্রহ করছে। গোষ্ঠীটি সেপেহর এনার্জি নামের একটি ছদ্ম প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে।

এছাড়া মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ নেটওয়ার্কে একটি গোপন ট্যাংকার বহর ও এর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যারা ইরানি জ্বালানি তেল চীনে সরবরাহে সহায়তা করছে।

যুক্তরাষ্ট্রের মতে, নেটওয়ার্কটি ভারতের পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরাতেও কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এর মাধ্যমে লাখ লাখ ব্যারেল ইরানি জ্বালানি তেল চীনে পাঠানো হচ্ছে। ফলে অর্জিত শতশত কোটি ডলার ইরানি সামরিক বাহিনীর হাতে পৌঁছাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্র ২০২৩ সালেও সেপেহর এনার্জির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। তবে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরো কঠোর হয়েছে। এবার ইরানের জ্বালানি তেল বিক্রির পুরো নেটওয়ার্ককে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ট্যাংকারের ক্যাপ্টেন, নাবিক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ও ইরানি জ্বালানি তেল পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত জাহাজ পরিচালনাকারী সংস্থাগুলো।

নিষেধাজ্ঞার আওতায় ভারতের একটি প্রতিষ্ঠানও রয়েছে, এর ব্যবস্থাপনায় শতাধিক জাহাজ রয়েছে।

মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেন, ‘ইরানি সরকার এখনো জ্বালানি তেল বিক্রির অর্থ পরমাণু কর্মসূচি, প্রাণঘাতী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও চালকবিহীন আকাশযান (ইউএভি) তৈরিতে ব্যবহার করছে এবং আঞ্চলিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে সহায়তা দিচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘‌এসব বিপজ্জনক কার্যক্রমের জন্য ইরানের অর্থ সংগ্রহের যেকোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করবে যুক্তরাষ্ট্র।’

৯ ফেব্রূয়ারি ২০২৯
এজি