অনেক গর্ভবতী নারী প্রসবের সময় একত্রে ২ অথবা তার অধিক সন্তানের জন্ম দিয়ে থাকেন ৷ গর্ভে একের অধিক সন্তান ধারণ করা অস্বাভাবিক কিছু নয়৷ কিন্তু কী কী কারণে যমজ সন্তান হয়? সে বিষয়টি আজকে আমরা জানবো।
বিশ্লেষণ করলেন কলকাতা আর কর মেডিক্যাল কলেজের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ড: অরূপ মাজি৷
যমজ দুই ধরনের হতে পারে
যমজ দুইটি ভিন্ন ডিম থেকে বিকাশ লাভ করে। বেশিরভাগ যমজই। আর অসময়ে আকস্মিক ও প্রারম্ভে গর্ভধারণের কারণে অনেক সময় একই ডিম বিভক্ত হয়ে যমজ সৃষ্টি করে।
১. পরিসংখ্যান বলছে, গত কয়েক বছরে যমজ সন্তান প্রসবের হার বেড়েছে ৷ চিকিৎসকরা মনে করছেন মাল্টিপ্ল অবুলেশন-এর প্রধান কারণ অর্থাৎ বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসার জন্য যে ওষুধ সেবন করা হয়, সেই ওষুধের সাইড এফেক্ট থেকে যমজ সন্তানের জন্ম হয়৷
২. টেস্টটিউব বেবির ক্ষেত্রে একাধিক ভ্রুণ মায়ের গর্ভে ট্রান্সফার করা হয়, এক্ষেত্রেও যমজ সন্তানের জন্ম দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে ৷
৩. বেশি বয়সে প্রেগনেন্সি একটা বড় কারণ বলে মনে করছেন চিকিৎসক মহল৷
৪. বংশগত কারণ
কী কী সমস্যা হতে পারে?
১. মা এবং বাচ্চা, দু’জনের শরীরেই বেশ কিছু জটিলতা দেখা যায়৷
২. মূলত মায়ের শরীরে রক্ত স্বল্পতা দেখা যায় ৷ প্রেসার বেড়ে যায়, রক্তক্ষরণ এবং শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দেয়৷
৩ . ডেলিভারির পর রক্তস্রাব বেশি হয়৷এর ভয় থাকে৷
৪. ডেলিভারির সময় সমস্যা হতে পারে৷
৫. প্রি-টার্ম ডেলিভারির ক্ষেত্রে অনেক সময় মায়ের মৄত্যু পর্যন্ত হতে পারে ৷
বাচ্চার সমস্যা
১. অপরিণত বাচ্চা
২. বাচ্চার ওজন কম হয়
৩. নানা ধরনের জন্মগত ত্রুটি
৪. জন্মের সময় মৄত্যুও হতে পারে ৷
চিকিৎসা
১. মাকে বেশি পরিমাণে বিশ্রাম নিতে হবে৷
২. পুষ্টিকর খাবার বেশি খেতে হবে৷
৩. ডেলিভারির আগে অর্থাৎ প্রেগনেন্সির সময় অ্যানিমিয়া ধরা পড়লে অথবা রক্তক্ষরণ বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিলে ঘনঘন চেক-আপ করাতে হবে৷
৪. অ্যানিমিয়া ঠেকাতে আয়রন ফলিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়াতে হবে ৷
৫. ডেলিভারির নির্ধারিত সময়ের অনেক আগে উপযুক্ত পরিকাঠামো আছে এমন হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে ৷সূত্র: কলকাতা