বগুড়া প্রতিনিধি | আপডেট: ০৭:০৪ পিএম, ২৮ আগস্ট ২০১৫, শুক্রবার
প্রেমিক মজনু ছাড়া অন্য কারোর কাছে নিজেকে সমর্পন করেনি ইছতিয়ারা খাতুন মিরা। তাই নিজের ভালোবাসাকে সন্মান জানাতে শুক্রবার দুপুরে ঘরের তীরের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে মিরা।
স্থানীয় লোকজন জানান, মিরা শাজাহানপুর উপজেলার শৈলধুকরি গ্রামের কৃষক মহসিন প্রামাণিকের মেয়ে। প্রতিবেশি কৃষক মোফাজ্জলের পালিত ছেলে মজনুর সঙ্গে প্রেমের সর্ম্পক ছিল তার। পরিবার থেকে রাজী না হয়ে উল্টো জুয়েল নামের ব্যবসায়ী পাত্রের সাথে জোর করে বিয়ে দেয়ার চেষ্টাও করে তারা।
এ কারণে মিরা আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। গত বৃহস্পতিবার গায়ে হলুদ হয়েছিল তার। শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন ছিল।
পরিবারের লোকজন জানান, রাধানগর মহিলা মাদ্রাসায় এইসএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিল মিরা। কিছুদিন আগে তারা জানতে পারেন মজনুর সঙ্গে মিরার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। কিন্তু পারিবারিকভাবে এ সম্পর্ককে কেউ মেনে নেয়নি। তাই বগুড়া শহরের চক লোকমান এলাকার ব্যবসায়ী জুয়েলের সাথে বিয়ের সব ঠিক ঠাক করা হয়।
বৃহস্পতিবার তাদের গায়ে হলুদ হয়ে যায়। মিরা যাতে কোনো অঘটন না ঘটায় এবং পালিয়ে যেতে না পারে, সে জন্য জেঠাতো ভাই হান্নানের ঘরে তাকে আটকে রাখা হয়। সাথে পাহারা দেয়ার জন্য রাখা হয় হান্নানের মা হাছেনা বেগমকে।
ঘটনা সম্পর্কে হাসেনা বেগম জানান, দু’জনে একসাথে ফজরের নামাজ আদায় করেছেন। এরপর তিনি মিরাকে ঘরে রেখে সাংসারিক কাজ করার জন্য বের হন। দুপুরের কিছু আগে মিরাকে ডাকতে গিয়ে ঘরের তীরের সাথে ওড়না পেচানো অবস্থায় ঝুলতে দেখেন তিনি। এসময় তার চিৎকারে অন্যরা এসে মিরাকে নিচে নামান। ততক্ষণে মিরার মৃত্যু হয়ে যায়।
শাজাহানপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক তাজমিলুর জানান, মেয়েটির এক ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরিবারের পক্ষ থেকে অন্যত্র জোর করে বিয়ে দেয়া হচ্ছিল। এ কারণেই আত্মহত্যা করেছে।
চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/এমআরআর/২০১৫
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur