নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর উপজেলায় প্রেমিকাকে তুলে নিতে এসে প্রেমিকার বাবা মনিন্দ্র অধিকারীকে (৫০) কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রেমিক ও তার দলের লোকেরা। এ ঘটনায় সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ। উপজেলার ভুইগড় রগুনাথপুর এলাকায় বুধবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে।
মনিন্দ্র অধিকারী লালমনিরহাটের কালিগঞ্জ থানার কৃজ্ঞদিশা এলাকার বাসিন্দা। আটকরা হলেন- নজরুল ইসলাম (৩৫), মনির হোসেন (৩৪), জাহিদ (২০), সুশান্ত (১৯), জুয়েল (২৫), বাবু (২১) ও হ্নদয় (২৬)।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন জানান, ভুইগড় রগুনাথপুর এলাকায় এনামুল হকের বাড়িতে পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন মনিন্দ্র অধিকারী। ওই বাড়িতেই কেয়ারটেকারের কাজ করতেন তিনি।
তিনি জানান, তার তিন মেয়ের মধ্যে মেঝ মেয়ে ঝর্না অধিকারী (১৭) ঢাকার ছেলে তুহিন নামে এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। তাদের প্রেমের সম্পর্ক পরিবারের লোকজন জানতেন না। ঝর্নার পরিবার তার বিয়ে ঠিক করে পাগলা এলাকার এক ছেলের সঙ্গে। ঝর্না এ বিয়েতে রাজি না হয়ে তার প্রেমিক তুহিনকে বিষয়টি অবগত করেন। পরে দুটি মাইক্রোবাসে তুহিনসহ তার বন্ধুরা বুধবার ভোরে রগুনাথপুরের বাড়ি থেকে ঝর্নাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় বাবাসহ পরিবারের লোকজন বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ঝর্নার বাবা মনিন্দ্র অধিকারীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে তারা।
ওসি জানান, মনিন্দ্র অধিকারীকে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়ার সময় নিহতের স্ত্রীসহ প্রতিবেশীরা সাতজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এ সময় তাদের ব্যবহৃত দুটি মাইক্রোবাসও জব্দ করা হয়। মনিন্দ্র অধিকারীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্ক ||আপডেট: ১২:৪৭ অপরাহ্ন, ১৬ মার্চ ২০১৬, বুধবার
এমআরআর