সারাদেশ

জেল হাজতে ঠাই হলো সেই অপহরণকারীর

অবশেষে জেল হাজতে ঠাই হলো সেই অপহরণকারীর। ঘটনাটি গেলো সোমবার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানা এলাকার টনকীতে। ওইদিন দুপুরে টনকি এলাকা থেকে হাজী দুদ মিয়া (৭০) এবং তার স্ত্রী সায়েরা খাতুনকে (৬০) অপহরণের সময় মোঃ জাবেদ (২৮) নামে সন্দেহজন এক যুবককে আটক করে এলাকাবাসী।

আটক মোঃ জাবেদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার নাটঘরের আবু জাহের এর ছেলে।পরে বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় থানায় একটি মামলাও দায়ের করেন অপহরণের শিকার বৃদ্ধ দম্পতির সন্তান জালাল উদ্দীন।

বাদী জালাল উদ্দীন জানান, তার পিতা হাজী দুদ মিয়া (৭০) ও মাতা সায়েরা খাতুন (৬০) দুজনেই তাদের বেয়াইয়ের বাড়ি (টনকি মধ্যপাড়া) দাওয়াত খেতে যায়। পথে টনকি পশ্চিম পাড়ায় তাদেরকে অপহরণ কারার চেষ্টা করে জাবেদ।

এঘটনায় দায়েরকৃত মামলার বিবরণে জানা যায়, আটক জাবেদ অপহরণের শিকার দুদ মিয়া ও তার স্ত্রীকে তাদের প্রবাসে থাকা ছেলের পাঠানো টাকা ও কিছু সরঞ্জামাদি পাঠিয়েছে বলে জানায়। এমনই মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে দুজনকে হুন্ডায় তুলে অন্যত্র নিয়ে যাবার চেষ্টা করে।

এমতাবস্থায় দুদ মিয়ার ছেলে জালাল উদ্দীন ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে, রাস্তায় তার বাবা ও মাকে এক অজ্ঞাত ব্যাক্তির হোন্ডা দেখে চমকে উঠেন। তাৎক্ষণিকভাবে তার বাবা ও মার কাছে বিষয়টি জানতে চান।

এক পর্যায়ে অপহরণকারি জাবেদ কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে এলোমেলো তথ্য দিলে স্থানীয়দের সহায়তায় জাবেদকে আটক করে তাকে টনকী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন এর কাছে হস্তান্তর করেন।

খবর পেয়ে বাঙ্গরা বাজার থানার এসআই এনামুল জাবেদকে থানায় নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান তালুকদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তাকে ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত জাবেদের কথামতো সে দুইজনকেই অপহরণের চেষ্টা করতে চেয়েছিল বলে স্বীকার করেছে।

ওসি জানান, মামলা দায়েরের পর আরও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করে।

প্রতিবেদক:জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল

Share