চাঁদপুর

জেলা ব্র্যান্ডিংয়ে আসতে পারে হাইমচরের নারকেল ও ছোবড়া শিল্প

চাঁদপুর জেলা ব্র্যান্ডিং কর্মসূচির আওতায় আসতে পারে হাইমচর উপজেলার বাছাইকৃত নারকেল ও ছোবড়া শিল্প।

ওই এলাকায় একাধিক ব্যাক্তি বিভিন্ন গ্রাম থেকে শ’ হিসেবে নারকেল পাইকারী ক্রয় করে ছোবড়া ও নারিকেল দিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসা গড়ে তুলেছেন। চাঁদপুরের পাশ্ববর্তী জেলাসহ ফরিদগঞ্জ ও হাইমচরের ক’টি এলাকায় নাকেল ও সুপারী উৎপাদন বেশি হয়।

এসব ব্যবসায়ীরা সে অঞ্চলগুলোর ওপর নির্ভর করে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষুদ্রাকারে এ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন।

হাইমচর উপজেলায় চরভৈরবী আমতলী গ্রামের পাইকার ব্যবসায়ী শান্তি সরকারের বাড়িতে গিয়ে তার সাথে কথা হয়। তিনি জানান একাধিক নারকেল সংগ্রহ করে শ্রমিকের সাহায্যে সেগুলোর ছোবড়া বাচাই করে পাইকারি হিসেবে বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করা হয়। শুধু নারকেলই নয় তার সাথে একই ভাবে সুপারি ক্রয় করে সেগুলোও বিভিন্ন পাইকারি বাজারে বিক্রি হয়।

তার সাথে নারকেল এবং সুপারির বাছাইকৃত ছোবড়া গুলো পাইকারি ধরে বিক্রি করে থাকেন। সেগুলো দিয়ে তৈরি হয় সোফা, জাজিম, অথবা রিকশার সীট তৈরি করতেও ছোবড়ার ব্যাবহার হয়ে থাকে।

এ নারকেল ও সুপারির ছোবড়া বাচাই করে ব্যবসায়ী শান্তি সরকারের সাথে এ কাজ করে অর্থ উপার্জন করে সংসার চালাচ্ছেন একাধিক পরিবার।

জানাযায় ওই উপজেলার আমতলী টমটম এলাকার নারকেলের পাইকার ব্যবসায়ী শান্তি সরকার দীর্ঘ প্রায় ১৫/ ২০ বছর ধরে এ ব্যবসা করে চলেছেন।

ব্যবসায়ী শান্তি সরকার জানান তিনি হাইমচর উপজেলার গ্রামের বিভিন্নস্থান থেকে ২৮/ ৩০ টাকা ধরে নারকেলের জোড়া ক্রয় করে সেগুলোর ছোবড়া বাচাই করে ঢাকা, কুমিল্লা ও মুন্সিগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার তেলের কোম্পানী ও পাইকারদের কাছে ১শ পিচ নারিকেল ৩ হাজার টাকা ধরে বিক্রি করেন।

তিনি জানান প্রায় ১৫/২০ বছর ধরে তিনি এভাবে নারিকেলের ছোবড়া বাচাই করে এই নারিকেলের ব্যবসা পরিচালনা করছেন। তার অধীনে তিন তিনটি পরিবার ছোবড়া বাছই করার কাজ করছেন। একজন শ্রমিক ১শ পিস নারিকেলের ছোবড়া বাচাই করলে তার বিনিময়ে ৭৫ টাকা পান।

একজন শ্রমিক প্রতিদিন প্রায় ১ হাজার পিস নারিকেল ছোবড়া বাচাই করতে পারেন বলে তিনি জানান। ৩/৪ টি পরিবার অর্থ উপার্জন করে সংসার চালাচ্ছেন।

চাঁদপুর জেলার অন্যা কোথাও এমন দৃশ্য চোখে না পড়লেও হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী ইউনিয়নের আমতলী গ্রামে লোকজন নারকেলের ছোবড়া বাছাই করে জীবিকা

বিভিন্ন ফলের মধ্যে নারকেল একটি অন্যতম ফল। এ দিয়ে তৈরি হয় বিভিন্ন সুস্বাদু খাবার। তবে বিশেষ করে নাস্তা, পায়েস, নারকেলি, মোরব্বা, এবং অনেক বাঙালি রান্না-বান্নায় সুস্বাদু খাবার তৈরিতে নারকেলের ব্যাবহার রয়েছে।

চুলে ব্যাবহরের জন্য নারেকেল থেকে প্রস্তুতকৃত তেলেও যথেষ্ট জনপ্রিয়তা রয়েছে। আর সে তেল তৈরি এবং বিভিন্ন খাবার তৈরি করার জন্যে লোক দ্বারা নারিকেলের ছোবড়া বাচাই করে সেগুলো পাইকার ও বিভিন্ন কোম্পানিতে বিক্রি করা হচ্ছে।

এমন সুন্দর নিঁখুত কাজ দেখে অনেকে মনে করছেন চাঁদপুর জেলাকে প্রশাসন যে ব্র্যান্ডিং জেলা হিসেবে ঘোষণা করেছেন তাতে নারকেলের ছোবড়া বাছাইকৃত এ প্রাকৃতিক সুন্দর কাজটি ও ক্ষুদ্র কুটির শিল্প হিসেবে জেলা ব্র্যান্ডিংয়ের আওতায় আসতে পারে।

: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৫:১০ পিএম, ২০ নভেম্বর ২০১৬, রোববার
ডিএইচ

About The Author

প্রতিবেদক- কবির হোসেন মিজি
Share