নিউজ ডেস্ক । আপডেট: ০৮:৪৬ অপরাহ্ণ, ২৬ জুলাই ২০১৫, রোববার
তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার। এতে ১৮টি কার্য-অধিবেশনে ২৫৩টি প্রস্তাবের উপর আলোচনা হবে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা সম্মেলন কক্ষে হবে বিভিন্ন অধিবেশন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ডিসি সম্মেলনে আলোচনার জন্য বিভাগীয় কমিশনারদের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকরা প্রস্তাব পাঠিয়েছেন।
এবার ৩৯টি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত ২৫৩টি প্রস্তাবের উপর আলোচনা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ডিসিদের প্রস্তাবনাগুলো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিল, তাদের ‘ফিডব্যাক’ নিয়ে এজেন্ডা চূড়ান্ত করা হয়েছে।
ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সব থেকে বেশি ২৫টি এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত ২৪টি প্রস্তাব ডিসিদের কাছ থেকে এসেছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
মোশাররাফ বলেন, “ডিসিরা সরকারের নীতি, কৌশল বাস্তবায়নে খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখতে সক্ষম। তাই এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে সরকারের পলিসি মেকাররা তাদের নির্দেশনা দেন। সরকারের বিভিন্ন প্রোগ্রাম ও প্রায়োরিটি নিয়েও স্বচ্ছ ধারণা পান ডিসিরা।”
স্থানীয় পর্যায়ের বিভিন্ন সম্ভাবনা এবং বাস্তব চ্যালেঞ্জ জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে সরকারে নীতি-নির্ধারকরাও জানতে পারেন।
সম্মেলনে ১৮টি কার্য-অধিবেশনের বাইরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে জেলা প্রশাসকদের সৌজন্য সাক্ষাৎ, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্তে আলোচনা ছাড়াও সমাপনী অধিবেশন থাকবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, জেলা প্রশাসক সম্মেলন তিন দিনের হলেও এটি পাঁচ দিনেরই সম্মেলন হয়। সম্মেলন উদ্বোধনের আগের দিন ডিসিদের ব্রিফিং দেওয়া হয়। এছাড়া তিন দিনের সম্মেলন শেষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন পরিচালিত এটুআই প্রকল্প ডিসিদের নিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ ও ইনোভেশন প্রোগ্রাম বিষয়ক সেশন আয়োজন করে।
এবার জেলা প্রশাসক সম্মেলনে ভূমি ব্যবস্থাপনা, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়ন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যক্রম জোরদারকরণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ত্রাণ ও পূণর্বাসন কার্যক্রম, স্থানীয় পর্যায়ে কর্ম-সৃজন ও দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি বাস্তবায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি বাস্তবায়ন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার এবং ই-গভর্নেন্স, শিক্ষার মান উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ, স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার কল্যাণ, পরিবেশ সংরক্ষরণ দূষণ ও রোধ, ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন এবং বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের কার্যক্রমের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও সমন্বয় করা হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
২০১৪ সালের ডিসি সম্মেলনে নেওয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ৯৩ শতাংশ জানিয়ে মোশাররফ বলেন, ২০১৩ সালের ৯২ শতাংশ এবং ২০১২ সালের ডিসি সম্মেলনে নেওয়া সিদ্ধান্তের ৯১ দশমিক ১৮ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে।
চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/এমআরআর/২০১৫
চাঁদপুর টাইমস ডট কম–এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি