Home / লাইফস্টাইল / জেলার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক আব্বাস উদ্দিন সংবর্ধিত
ABBAS UDDIN

জেলার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক আব্বাস উদ্দিন সংবর্ধিত

চাঁদপুরের শিক্ষক নেতা,জেলা সদরস্থ গণি মডেল স্কুলের কান্ডারি, চাঁদপুরের একজন শিক্ষাগুরু মো.আব্বাস উদ্দিন জেলার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক হিসেবে সংবর্ধিত হন। চাঁদপুর জেলা প্রশাস কামরুল হাসান শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষকের ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেন ।

প্রধানশিক্ষক মো.আব্বাস উদ্দিন শিক্ষকতা ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের ব্যক্তিত্ব হিসেবে চাঁদপুরে ব্যপক পরিচিতি লাভ করেছেন। নিজের সৃজনশীল কর্মস্পৃহা, মেধা-মননশীলতা, দক্ষতা অর্জন ও সাহিত্যাঙ্গনে অবাদ বিচরণের মধ্য দিয়ে নিজেকে শুধু শিক্ষাঙ্গনে নয়,সকল অঙ্গনে করে তুলেছেন একজন গ্রহণযোগ্য একজন ব্যক্তি হিসেবে। ছিলেন জেলা সচেতন নাগরিক কমিটি এর সদস্যও।

চাঁদপুরের কীর্তিমান এ প্রধান শিক্ষক ১৯৬৪ সালের ৯ জানুয়ারি মতলব উত্তর উপজেলার পশ্চিম ফতেহপুর ইউনিয়নের ফৈলাকান্দি গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম আবদুর রহমান মোল্লা এবং মায়ের নাম আনতেষা বেগম। তাঁর পরিবারে ৬ ভাই বোনের মধ্যে একমাত্র ভাই।

১৯৭৪ সালে ফৈলাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা ও পারিবারিক ধর্মীয় শিক্ষা লাভ শেষে নাউরী আহম্মদীয়া উচ্চ বিদ্যালয় ভর্তি হন। তিনি ১৯৮০ সালে ঐ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ১৯৮২ সালে ছেঙ্গার কলেজ থেকে এইচএসসি, ১৯৮৯ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স ও ১৯৯৪ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে মো.আব্বাস উদ্দিন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন। অনার্স পাস করার পর ১৯৯০ সালে শিক্ষকতা পেশা শুরু করেন তিনি। এ বছর মতলব উত্তর উপজেলার বাগানবাড়ি আইডিয়াল একাডেমিতে সহকারী শিক্ষক হিসাবে যোগদান করে শিক্ষার্থীদের কাছে ব্যপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি।

শিক্ষকতা পেশা যখন নেশায় পরিণত হয় তখন ১৯৯৫ সালে কুমিল্লা টি টি কলেজ থেকে বিএড ডিগ্রী সম্পন্ন করেন। বাগানবাড়ি আইডিয়াল একাডেমিতে টানা ১৩ বছর শিক্ষকতা করেন তিনি। ২০০২ সালের মাঝামাঝি নন্দলালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন মোঃ আব্বাস উদ্দিন।

সাড়ে ৩ বছর সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে ২০০৬ সালের ১ জানুয়ারি চাঁদপুর জেলা সদরের স্বনামধন্য ও ঐতিহ্যবাহী শতবর্ষী গণি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। এ স্কুলে যোগদানের পর তাঁর এ বিদ্যালয়ের শিক্ষা ও শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে,শিক্ষার্থীদের শিক্ষার উন্নয়নে,শিক্ষক-কর্মচারীদের পেশাগত মান বাড়াতে এবং জেলার শিক্ষক সংগঠনে য়োগ দিয়ে নিরলসভাবে কাজ করেন তিনি।

শিক্ষার মান-উন্নয়নে শিক্ষা বিভাগের নির্দেশিকা অনুসরণ করে, নতুন নতুন কারিকুলাম মতে এলাকাবাসী ও ছাত্র-অভিভাবক, শিক্ষা প্রশাসনের সাথে সু-সম্পর্ক বজায় রেখে তাঁর বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। অত্যন্ত সুলভ আচরণ এর মাধ্যমে তিনি একজন ভালো প্রধান শিক্ষক হিসেবে পরিচিতি লাভ করার সামর্থ্য অর্জন করেন ।

গত ২০১৬ সালেও চাঁদপুর সদর উপজেলা থেকে তিনি শ্রেষ্ঠ উপজেলা প্রধান শিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত হন। চলতি বছর এবার জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২২ এ তিনি জেলা পর্যায়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে শ্রেষ্ঠ প্রধানশিক্ষক নির্বাচিত হন।

এ ছাড়াও ২০১৪ সালে জেলা প্রশাসন কর্তৃক ঘোষিত জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কার, ২০১৭ সালে চাঁদপুর লায়ন্স ক্লাব কর্তৃক বিশেষ অবদান ও ২০১৯ সালে জাতীয় পর্যায়ে নজরুল সাংস্কৃতিক সংঘ কৃতিত্ব রাখায় পুরস্কার লাভ করেন। ২০২২ সদর উপজেলার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচিত হন। এছাড়াও চাঁদপুর ও মতলবের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন থেকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পুরস্কার অর্জন করেন।

তিনি শিক্ষার মান-উন্নয়নে শিক্ষা বিভাগের নির্দেশিকা অনুসরণ করে, নতুন নতুন কারিকুলাম মতে এলাকাবাসী ও ছাত্র-অভিভাবক,শিক্ষা প্রশাসনের সাথে সু-সম্পর্ক বজায় রেখে তাঁর বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। অত্যন্ত সুলভ আচরণ এর মাধ্যমে তিনি একজন ভালো প্রধানশিক্ষক হিসেবে পরিচিতি লাভ করার সামর্থ্য অর্জন করেন ।

২০১৬ সালেও চাঁদপুর সদর উপজেলা থেকে তিনি শ্রেষ্ঠ উপজেলা প্রধানশিক্ষক হিসেবে ও এবার জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২২ এ তিনি জেলা পর্যায়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে শ্রেষ্ঠ প্রধানশিক্ষক নির্বাচিত হন।

এ ছাড়াও ২০১৪ সালে জেলা প্রশাসন কর্তৃক ঘোষিত জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কার,২০১৭ সালে চাঁদপুর লায়ন্স ক্লাব কর্তৃক বিশেষ অবদান ও ২০১৯ সালে জাতীয় পর্যায়ে নজরুল সাংস্কৃতিক সংঘ কৃতিত্ব রাখায় পুরস্কার লাভ করেন। ২০২২ সদর উপজেলার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচিত হন। এছাড়াও চাঁদপুর ও মতলবের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন থেকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পুরস্কার অর্জন করেন।

শিক্ষকতার পাশাপাশি অবস্থায় তিনি যৌথভাবে একটি ইংরেজি গ্রামার প্রণেতা ও জেলার সকল শিক্ষকদের সাথে যোগসূত্র স্থাপনে ২০১৪ সালে একটি ‘টিচার্স ফোন গাইড’ প্রকাশ করেন। বর্তমানে নিজের কবিতাগ্রন্থ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গবেষণার পাণ্ডুলিপি তৈরি করেছেন। এছাড়াও শিক্ষামূলক গবেষণার কাজে মনোনিবেশ করছেন বলে জানা যায়।

সংস্কৃতি অঙ্গনে বিচরণ ছিলো তাঁর ছাত্রজীবন থেকেই। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে পড়াকালীন উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ সংগীত বিদ্যাপীঠ বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে নজরুল সংগীত বিভাগে ভর্তি হয়ে বাংলাদেশ বেতার ও টিভির নজরুল সঙ্গীত শিল্পী ও একাডেমির শিক্ষক এম এ মান্নানের স্বান্নিধ্য লাভ করেন। এখনও সুযোগ পেলে ছাত্র শিক্ষকদের সাথে যে কোনো অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন তিনি।

গণি মডেল হাই স্কুলে গত কয়েক বছরে ম্যাজিকাল পরিবর্তন এনেছেন চৌকশ এ শিক্ষক নেতা। ফলাফল, নিয়মানুবর্তীতা, ছাত্রদের পোশাক-পরিচ্ছেদ,সাহিত্য-সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও আভ্যন্তরিণ চর্চা নিয়মিত সচল রেখেছন তিনি।

চাঁদপুরে একমাত্র এ প্রতিষ্ঠানেই রয়েছে ৭টি সহশিক্ষামূলক সংগঠন। বিতর্ক চর্চার জন্য রয়েছে বিতর্ক ক্লাব,সংগীত চর্চার জন্য সংগীত ক্লাব,শরীর চর্চা শিক্ষকের নেতৃত্বে স্পোর্টস ক্লাব, শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে দক্ষতা বাড়াতে ইংলিশ ক্লাব,স্কুল কেবিনেটের নেতৃত্বে সততা স্টোর, বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিজ্ঞান ক্লাব ও সাহিত্য চর্চা অব্যাহত রাখতে সাহিত্য পরিষদ।


আবদুল গনি
চাঁদপুর টাইমস
৯ আগস্ট ২০২২